২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা তুলে নেওয়া হয়েছিল। প্রত্যাহার করা হয়েছিল সংবিধানের ৩৭০ ধারা। তারপর জম্মু ও কাশ্মীরকে দুই ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়। জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখকে আলাদা দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। এই পরিবর্তনের পর এদিন প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মুখোমুখি হলেন উপত্যকার রাজনীতিবিদরা। দীর্ঘদিন পর ফের কাশ্মীর ও দিল্লির মধ্যকার বরফ গলার ইঙ্গিত মিলল এদিনের বৈঠকের পর। জানা গিয়েছে, বৈঠকে মোদী-শাহ দুই জনেই জানান, দ্রুত রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে জম্মু ও কাশ্মীরকে।
সূত্রের খবর, এদিন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আশ্বাস দেন যে দ্রুত জম্মু ও কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরানো হবে। পাশাপাশি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফেরানো নিয়েও ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী তাঁর উদ্বোধনী ভাষণে উল্লেখ করেন যে, জম্মু ও কাশ্মীরে ফের কীভাবে গণতন্ত্র স্থাপন করা যায়, সেই দিকে নজর দিতে হবে। সেখানকার উন্নয়নমূলক দিকগুলিতে মনোনিবেশ করা দরকার বলে মত প্রকাশ করেন মোদী। পাশাপাশি তিনি উপত্যকার তরুণদের কর্মসংস্থানের বিষয় নিয়েও কথা বলেন। তাছাড়া তিনি স্কিল ইন্ডিয়ার উদ্যোগ নিয়েও কথা বলেছেন। পাশপাশি মোদী বলেন, দিল্লি এবং কাশ্মীরের মনে দূরত্ব মেটাতে হবে।
এদিন বৈঠক শেষে মোদী এবং শাহ দু’জনেই টুইট করেন। প্রধানমন্ত্রী টুইটে লেখেন, ‘আমাদের গণতন্ত্রের সবথেকে বড় শক্তি হল আলোচনায় বসে মতামত আদান-প্রদান করতে পারা। আমি জম্মু ও কাশ্মীরের নেতাদের বলেছি যে সেখানকার যুব সমাজকে সেখানে রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রদান করতে হবে এবং লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে তাঁদের আকাঙ্ক্ষাগুলি যথাযথভাবে পূরণ হয়।’
পাশাপাশি অমিত শাহ তাঁর টুইটে লেখেন, ‘আমরা জম্মু ও কাশ্মীরের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জম্মু ও কাশ্মীরের ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সংসদের আলোচনা মতো পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধারে ডিলিমিটেশন মহড়া এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।’
Be the first to comment