নবান্ন–রাজভবন সংঘাতের মধ্যেই সুচারুভাবে বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের ভাষণ চূড়ান্ত করল রাজ্য মন্ত্রিসভা। বরাবরই তা হয়ে আসছে। কিন্তু এবার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আলাদা। রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক নালিশ দিল্লি গিয়ে করে এসেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তার জন্য তাঁকে বিস্তর কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে। তবে রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ম মতো রাজভবনে পাঠানো হচ্ছে। মন্ত্রীসভার তৈরি করা ভাষণই পড়ে থাকেন রাজ্যপাল। বিধি অনুযায়ী এবারও তাই পাঠ করার কথা।
সূত্রের খবর, ভাষণের শুরুতেই বিপুল জয়ের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যা পাঠ করতে হলেও রাজ্যপালের তা বেদনার কারণ। এমনকী রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও অটুট রয়েছে সেই কথা রাজ্যপালের বক্তৃতায় রাখা হয়েছে। যা রাজ্যপাল নিজে মন থেকে মানেন না। এই বিষয়ে রাজ্যপাল যথেষ্ট সময় নিয়ে সরকারের পাঠানো বক্তৃতা পড়ে তা সাংবিধানিক নিরিখে বিবেচনা করতে চান। আর রাজ্যপালের এই বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচারিত হবে। সংবাদমাধ্যমে চোখ রেখেই গোটা রাজ্যের মানুষ তা দেখতে পাবে।
যদিও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় মন্ত্রিসভার তৈরি করা বক্তৃতার বিষয়বস্তু ‘বিবেচনা’ করার কথা জানিয়েছেন। আবার রাজ্যপাল সরকারের দেওয়া বক্তৃতা পড়তে বাধ্য থাকলেও তখন যদি নিজের কোনও বক্তব্য তাতে জুড়ে দেন তাহলে কিছু করার থাকে না। সম্প্রতি কেরল বিধানসভায় এমনই ঘটনা ঘটেছিল। যা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক।
রাজভবন সূত্রে খবর, গত বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচার না হওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল। এবার সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা করা যাবে কি না, স্পিকার তা খতিয়ে দেখবেন। আর অধিবেশনের কার্যক্রম কীভাবে, কতটা দেখানো হবে সেটিও সম্পূর্ণ স্পিকারের এক্তিয়ারভুক্ত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে। কোভিড বিধি পুরোপুরি মেনে স্পিকার সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করবেন।’ আগামী ২ জুলাই বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। বাজেট পেশ হবে ৭ জুলাই।
Be the first to comment