গত বছর নভেম্বরে শুরু হওয়া কৃষক আন্দোলন আজ সাত মাস পূর্ণ করল ৷ এই বিশেষ দিনটিতে আজ কৃষক সংগঠনগুলি সিঙ্ঘু-টিকরি-গাজিপুর সীমান্ত-সহ সারা দেশে “কৃষি বাঁচাও, গণতন্ত্র দিবস বাঁচাও” পালন করবে ৷ তবে আজ এই আন্দোলনে হামলা চালাতে পারে পাকিস্তানের আইএসআই, জানিয়েছে দেশের গোয়েন্দা দফতর ৷
দিল্লি পুলিশ আর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী (CISF)-কে সতর্ক থাকার কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছে গোয়েন্দা দফতর ৷ মেট্রো স্টেশনগুলির বাইরে যথেষ্ট পরিমাণে নিরাপত্তারক্ষী রাখার উপর জোর দেওয়া হয়েছে চিঠিতে ৷ চিঠি পাওয়ার পর যথোপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৷ দিল্লি মেট্রো কর্পোরেশন তিনটি মেট্রো স্টেশন বিশ্ববিদ্যালয়, সিভিল লাইন আর বিধান সভা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (SKM) জানিয়েছে উত্তর প্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের বহু কৃষক এই আন্দোলনে যোগ দেবে ৷ তবে শুক্রবার কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর কৃষক সংগঠনগুলির কাছে এই আন্দোলন তুলে নিতে আর্জি জানিয়েছেন ৷ এদিন ভোপালে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমি সব কৃষক সংগঠনগুলিকে তাদের প্রতিবাদ শেষ করতে অনুরোধ করছি ৷ সরকারের সঙ্গে ১১ বার বৈঠক হয়েছে ৷ কৃষি সংশোধন বিলগুলি-এর ফলে চাষিদের জীবন আরও উন্নত হবে ৷”
এদিকে সাত মাস পর এবার “কৃষি বাঁচাও, গণতন্ত্র দিবস বাঁচাও”-তে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হস্তক্ষেপ চাইছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা ৷ দেশের সমস্ত কৃষকের তরফে তাদের “কষ্ট আর অবিচারের” কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে একটি স্মারকলিপি পাঠাবে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (SKM) ৷ এতে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার, আর কৃষকদের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য-এর নিশ্চয়তার আবেদন জানাবে তারা ৷
Be the first to comment