তিন নম্বর রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া এ বার ট্যাংরায়। প্রায় ৪-৫ দিন ধরে মৃত মায়ের দেহ আগলে রাখল মেয়ে। বিষয়টি জানাজানি হতেই হতবাক এলাকার বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশ ৷ এই ঘটনায় ট্যাংরা থানা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
শনিবার রাত থেকেই ট্যাংরার ওই বাড়ি থেকে পচা গন্ধ বের হচ্ছিল। সন্দেহ হওয়ায় রবিবার সকালে এলাকার বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে বাসিন্দাদের সাহায্যে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখে বৃদ্ধার দেহটি পড়ে রয়েছে ৷ মায়ের দেহের পাশেই মেয়েকে বসে থাকতেও দেখে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম কৃষ্ণা দাস। তাঁর মেয়ের নাম সোমা দাস। এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রতিবেশীদের সঙ্গে মেলামেশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন মা ও মে। ওই বাড়িতে শুধু তাঁরা দুজনই থাকতেন। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কিছু দিন আগেই মেয়ে সোমা দাসের কাছে তাঁর মায়ের কথা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, মা ভাল আছেন।
পুলিশ সন্দেহ করছে, মায়ের মৃত্যুর খবর সোমা লুকিয়ে রেখেছিলেন। বৃদ্ধার দেহটিকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। দেহে ইতিমধ্যেই পচন ধরেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কী কারণে এই মৃত্যু হল তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি। মেয়ে সোমা দাসকেও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বৃদ্ধার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে, সোমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ। এর পেছনে অন্য কোনও পরিকল্পনা জড়িয়ে রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে তদন্ত ৷
২০১৫ সালের ১০ জুন এই রকম ঘটনার সাক্ষী থেকেছিল শহর কলকাতা ৷ ওই দিনই প্রকাশ্যে আসে পার্থ দের ঘটনা ৷ মধ্য কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটে পুলিশ কমিশনারের বাসভবনের পাশেই একটি বাড়িতে দিদির কঙ্কাল মাসের পর মাস আঁকড়ে রেখেছিলেন ভাই পার্থ দে ৷ যা সাড়া ফেলে দিয়েছিল সমগ্র রাজ্যজুড়ে ৷ এরপরে এমন আরও অনেক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে গোটা বাংলা ৷ কোথাও বাবার দেহ মেয়ের আগলে রাখা বা কোথাও স্বামীর দেহ মহিলার আগলে রাখার খবর প্রকাশ্যে এসেছে ৷ সে রকমই আবার ঘটতে দেখা গেল ট্যাংরায় ৷
Be the first to comment