উলুবেড়িয়ায় বিজেপির দলীয় পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালালো দলেরই একাংশ। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের সামনেই চলল ভাঙচুর। সেই সঙ্গে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি কর্মীরা। ভোট পরবর্তী হিংসার পরে জেলা নেতৃত্ব পাশে না দাঁড়ানোয় দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ বাসা বেঁধেছিল কর্মীদের মধ্যে। রবিবার সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ হল জেলা বিজেপির পার্টি অফিসে।
রবিবার জেলা অফিসে বিজেপির একটি বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠক) অমিতাভ চক্রবর্তী। সাধারণ সম্পাদকের সামনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। জেলা সভাপতি-সহ বিজেপি নেতাদেরও হেনস্থা করা হয়। বিজেপি কর্মীরা জানান, তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। জেলার নেতারা তাঁদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন না। তাঁদের অভাব–অভিযোগের কথা শোনা হচ্ছে না। বিজেপি কর্মীদের একাংশের ক্ষোভ এতটাই তীব্র ছিল যে জেলা কার্যালয়ের জানলার কাঁচ ইট মেরে ভেঙে ফেলা হয়।
প্রসঙ্গত, ভোটের ফল প্রকাশের পর বিজেপির মধ্যে কখনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে, আবার কখনও দলবদলের ঘটনাও সামনে এসেছে। এদিনও আসামসোলে প্রায় ৩ হাজার কর্মী সমর্থকরা তৃণমূলে যোগ দেন। পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক প্রায় প্রতিদিনই চলছে।
গত বিধানসভা ভোটের আগে পূর্ব বর্ধমানে বিজেপির জেলা দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় পার্টি অফিসের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকদের একাংশ। ভোটের আগে আদি ও নব্য বিজেপির মধ্যে লড়াই সামনে এসে গিয়েছিল, যার প্রভাব পড়েছিল ভোটের ফলাফলে।
Be the first to comment