ভুয়ো টিকা কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলার আবেদন গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার এই জনস্বার্থ মামলার আবেদন করেছিলেন আইনজীবী সন্দীপন দাস। আবেদনকারী আইনজীবীর দাবি, ভুয়ো টিকাকাণ্ডে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ জড়িত আছে। রাজ্য পুলিশ সত্য উদঘাটন করতে পারবে না। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।
ভুয়ো আইএএস অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে লালবাজার। বেশকয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছে দেবাঞ্জনের সেকেন্ড ইন কমান্ড তথা তার খুড়তুতো ভাই কাঞ্চন দেব। জানা গিয়েছে, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের তিনতলায় কলকাতা পুরসভার স্টিকার লাগিয়ে রীতিমতো অফিস খুলে বসেছিল দেবাঞ্জন দেব। সেই অফিসেরই একটি ঘরে বসতেন কাঞ্চন। প্রতিবেশীদের কাছে নিজেকে WBCS আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দিতেন।
এদিকে দেবাঞ্জনের টুইটারে প্রচুর প্রভাবশালী, তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়কের সঙ্গে ছবি রয়েছে দেবাঞ্জনের। শুধু তাই নয়। ভুয়ো এই আধিকারিকের নাম ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক ফলকে। ওই রবীন্দ্র মূর্তির ফলক অনুযায়ী, ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জনের সঙ্গে মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়, চৌরঙ্গীর বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতা পৌরনিগমের পৌরপ্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ। ফলকে তাঁদের নামের নিচেই রয়েছে দেবাঞ্জন দেবের নাম।
আর এসবের মাঝেই প্রশ্ন উঠেছে দেবাঞ্জনের তৃণমূল যোগ নিয়ে। যে কারণে সিবিআই তদন্তের দাবি ওঠে। পুরো টিকাকাণ্ডে কারা কারা জড়িত আছেন, তা জানতে চেয়ে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন আইনজীবী সন্দীপন দাস।
Be the first to comment