স্থিতিশীল কবীর সুমন। শ্বাসকষ্ট আগের তুলনায় অনেকটাই কম। তবে তাঁর বুকে ও গলায় সংক্রমণ রয়েছে। বাইপ্যাপ সাপোর্টেই রাখা হয়েছে তাঁকে। এসএসকেএম সূত্রে খবর, আরও কিছুদিন হাসপাতালেই রাখা থাকতে হতে পারে ‘গানওয়ালা’কে। এদিন দুপুরে কবীর সুমনকে দেখতে হাসপাতালে যান তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। সোমবারই নবান্ন থেকে ফেরার পথে তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার গভীর রাতে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমন। উডবার্নে ১০৩ নম্বর কেবিনে রাখা হয় তাঁকে। সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেন চালু করা হয়। ভর্তির সময় শরীরে তাঁর অক্সিজেনের মাত্রা ছিল ৯০। যেহেতু কোভিডের উপসর্গ তাই আরটিপিসিআর পরীক্ষা করানো হয়। যদিও সোমবার রাতে সে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
এদিন মদন মিত্র একটা ছোট্ট আড্ডাও দিয়েছেন গায়কের সঙ্গে। কী ছিল আড্ডার বিষয়। মদন মিত্র বললেন, “কী ছিল না বলুন। ‘মাইন ক্যাম্ফ’ পর্যন্ত চলে গিয়েছি আমরা। বললেন, ‘আমি বেঁচে থাকব। ২০২৪ কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় সরকারে তৃণমূল কংগ্রেসকে দেখব।’ আমার আলাপ ওঁর সঙ্গে আজকের নয়। আগের থেকে অনেক ভাল আছেন সুমন। খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন আমাদের প্রিয় গানওয়ালা। খুব তাড়াতাড়ি। আমি তো ওঁকে দেখেই বললাম ওহ লাভলি! এক লাভলি আড্ডা।”।
তবে জ্বর, গলায় ব্যাথা নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা। সূত্রে খবর, বুকে ও গলায় সংক্রমণ রয়েছে তাঁর। তবে তা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ হতে পারে আবার ভাইরাল সংক্রমণও হতে পারে। মঙ্গলবার অবশ্য জ্বর অনেকটাই কমেছে। শ্বাসের সমস্যা থাকলে তা কম। বাইপ্যাপে অক্সিজেন দেওয়ার পর ৯৬-৯৭ অক্সিজেন স্যাচুরেশন রয়েছে। অন্যদিকে সোমবার গলায় ব্যাথার জন্য দুধ পাউরুটিও খেতে পারছিলেন না। মঙ্গলবার ততটা কষ্ট নেই। সোমবার রাতে হঠাৎই কাঁপুনি দিয়ে জ্বর এসেছিল কবীর সুমনের। বুকের সিটি স্ক্যান করা হলে তার রিপোর্টে দেখা যায়, প্রবীণ গায়কের সিওপিডির সমস্যা রয়েছে। সেই চিকিৎসাই এখন চালানো হচ্ছে হাসপাতালের তরফে।
Be the first to comment