বুধবার কেন্দ্র থেকে টিকা এল রাজ্যে। তবে সংকটের সময়ে টিকার সংখ্যা দেখে খুশি হতে পারছেন না আধিকারিকরা। বুধবার বাংলায় ৪.০৫ লক্ষ ডোজ টিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্র। আধিকারিকদের সাফ বক্তব্য, এই সংখ্যক টিকা যথেষ্ঠ নয়। চাহিদা মেটাতে রোজ ৩ লক্ষ করে টিকা চাই রাজ্যের। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে জুলাই প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষকে টিকা দিতে চায় রাজ্য। তবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে টিকা বণ্টনের ক্ষেত্রে বরাবর বঞ্চনার অভিযোগ তুলে এসেছেন তিনি।
ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলার পারফরম্যান্স ভালো বলে দাবি করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বিজেপি এই দাবি মানতে নারাজ। দেশের নিরিখে বাংলার পরিসংখ্যান তুলে ধরে গেরুয়া শিবির বিভিন্ন সময় রাজ্যের টিকাকরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এদিকে এর জবাবে মমতার অভিযোগ, অন্য ছোট রাজ্যগুলিকে বাংলা থেকে বেশি টিকা দেওয়া হচ্ছে। বঞ্চনার সুর প্রবল ভাবে ফুটে ওঠে তাঁর গলায়। এই পরিস্থিতিতে অনেক জায়গাতেই দ্বিতীয় ডোজ ছাড়া কোনও টিকা দেওয়া হচ্ছে না। তাও টিকার আকাল দেখা দিতে চলেছে বলে আশঙ্কা রাজ্যের।
এদিকে টিকার বঞ্চনার দাবির মাঝেই ভুয়ো টিকাকরণ নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল কেন্দ্র। শুক্রবারের মধ্যে রাজ্যকে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ মঙ্গলবার রাজ্যকে যে চিঠি পাঠিয়েছেন, তাতে বেশ কড়া ভাষায় বলা হয়েছে যে, করোনা টিকাকরণ পদ্ধতি কো-উইন পোর্টালের মাধ্যমে করা উচিত এবং প্রত্যেকটি ডোজের রেকর্ড কো-উইনে থাকা দরকার। যাঁদের টিকা দেওয়া হচ্ছে, সেই প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হলে তাঁদের একটি করে শংসাপত্র পাওয়ার কথা। যদি কেউ করোনা টিকা নেওয়ার পর শংসাপত্র না পান, তাহলে সেই টিকা ভুয়ো বলে উদ্বেগ তৈরি হতেই পারে।
Be the first to comment