রেড রোডে বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল আহত পুলিশকর্মীর। বাইক-সহ মিনিবাসের নীচে আটক পড়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭। বৃহস্পতিবার সকালে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই মিনিবাসের তলায় আটকে পড়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁর বাইকে পুলিশ স্টিকার সাঁটানো ছিল। ক্রেন দিয়ে বাস কিছুটা সরিয়ে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। তাঁর অবস্থা গুরুতর ছিল। কিছুক্ষণ পর মৃত্যু হয় তাঁর। পাশাপাশি বেড়েছে আহতের সংখ্যাও।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মেটিয়াবুরুজ-হাওড়া রুটের মিনিবাসটি রেড রোডের উপরে উঠে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। প্রথমে এক বাইক আরোহীকে ধাক্কা মারে। তারপর রাস্তার ধারে রেলিং ভেঙে ফোর্ট উইলিয়ামের পাঁচিলে ধাক্কা মারে মিনিবাসটি। বাসের তলায় আটকে পড়েন ওই বাইক আরোহী। লন্ডভন্ড হয়ে যায় বাসের ভিতর। ইস্পাতের সিটও দুমড়ে-মুচড়ে যায়। জানালার কাচও ভেঙে পড়েছে।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিশ। তিনটি ক্রেন নিয়ে আসা হয়। ক্রেন দিয়ে বাসটি কিছুটা সরিয়ে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ওই বাইক আরোহীকে উদ্ধার করা হয়। সরানো হয় বাসটি। বাসে ৩০-৩৫ জনের মতো যাত্রী ছিলেন। তাঁদের কয়েকজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা।
.দুর্ঘটনার জেরে রেড রোডে কিছুক্ষণ যানজট তৈরি হয়। কলকাতা পুলিশ এবং সেনার দল রেড রোডে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিধিনিষেধ শিথিলের প্রথমদিনই বেপরোয়াভাবে ছুটছিল বাসটি। রেড রোডে উঠেই বাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। ধাক্কা মারেন ওই বাইক আরোহীকে। একাংশের দাবি, মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন চালক। সেইসঙ্গে দ্রুতগতিতে চালাচ্ছিলেন। তার জেরেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। দুর্ঘটনার পর কিছুক্ষণ মাথা নীচু করে পড়েছিলেন তিনি। পরে এলাকা থেকে পালিয়ে যান বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের।
Be the first to comment