বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার সংক্রান্ত একটি মামলায় কেন্দ্র, রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই নোটিশ। জনস্বার্থ মামলাটিতে বলা হয়েছে, ‘ভোটের পর বিজেপি সমর্থকদের উপর হামলা করা হয়েছে। ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরই হিন্দু বিজেপি সমর্থকদের বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, তাঁদের সম্পত্তি লুঠ করা হয়। শুধুমাত্র বিজেপিকে সমর্থন করার জন্য তাদের উপর চালানো হয় অত্যাচার।’
প্রসঙ্গত, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে ২৯২টি আসনের মধ্যে ২১৩টিতে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। বিজেপির ঝুলিতে এসেছে মাত্র ৭৭টি আসন। এরপর থেকেই রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে সরব গেরুয়া শিবির। একদিকে যখন তৃণমূলের দিকে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ তুলছে বিজেপি, তখন তৃণমূলের দাবি, রাজ্যে অশান্তি বাধানের চক্রান্ত করছে গেরুয়া শিবির।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ফোন করে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজও নিয়েছিলেন তিনি। একথা টুইট করে নিজেই জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তুলে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই টুইটারে সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এদিকে রাজ্যের ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের দলও পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
অন্যদিকে, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বিজেপিকে তুলোধনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা জানিয়েছিলেন, বিজেপি নিজেদের পরাজয় মেনে নিতে পারছে না। তাই এসব করছে।’ মমতা আরও বলেছিলেন, ‘এটা বিজেপির রাজনৈতিক নাটক। আমাদের কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে, বিজেপির নয়। মানুষকে বিভ্রান্ত করছে ওরা।’
Be the first to comment