ভবানীপুর-সহ ৫ কেন্দ্রে উপনির্বাচনে রাজি কমিশন, সবুজ সংকেত পৌঁছলো নবান্নে

Spread the love

একাধিক বিধানসভা আসনে দ্রুত উপনির্বাচন করার দাবি জানিয়ে আসছিল নবান্ন। নিম্নমুখী করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার যে তৈরি আছে, তাও জানানো হয়েছিল। নবান্ন সূত্রে খবর, উপনির্বাচন নিয়ে সবুজ সংকত দিয়েছে কমিশন। তার ফলে কয়েকদিনের মধ্যে উপনির্বাচনের সূচি ঘোষণা করে দেওয়া হতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।

এমনিতে এবার রাজ্যে ২৯২ টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। ভোটের দিনকয়েক আগেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জের সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থীর মৃত্যু হয়। তার জেরে সেই দুই আসনে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। ভোটগ্রহণের পর আরও পাঁচটি আসন ফাঁকা হয়েছে। ভোটের ফল প্রকাশের আগেই মৃত্যু হয় খড়দহের জয়ী প্রার্থী কাজল সিনহার।

সম্প্রতি মারা গিয়েছেন গোসাবার জয়ী প্রার্থী জয়ন্ত নস্কর। ভবানীপুর আসন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ছেড়ে দিয়েছেন জয়ী প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও দিনহাটা এবং শান্তিপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন যথাক্রমে নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার। 

এমনিতে তৃণমূলের হাতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। কিন্তু মমতা নন্দীগ্রামে হেরে যাওয়ায় বিপত্তি হয়েছে। মমতা যেহেতু বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত না হয়, মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন, তাই নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে ছ’মাসের মধ্যে জিতে আসতে হবে। তবেই মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন। সেজন্য তৃণমূল সরকারের তরফে দ্রুত উপনির্বাচনের দাবি তুলতে থাকে।

গত মাসের শেষের দিকে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীও বলেন, ‘আমরাও অপেক্ষা করছি। যত দ্রুত সম্ভব, উপ-নির্বাচন করতে হবে। এখন করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। সাতদিনের মধ্যে ওরা উপ-নির্বাচন করতে পারবে। প্রার্থীদের জন্য এত সময় দেওয়ার প্রয়োজন নেই।’ পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলে তবেই ওরা (কমিশন) উপ-নির্বাচন করবে। সেটাই যদি হয়, তাহলে আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাব। এখন পরিস্থিতি ঠিক আছে। যদি তৃতীয় ঢেউ আস, তাহলে কিছু করা যাবে না।’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*