ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে এবার পাল্টা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল কংগ্রেস। এর আগে এই একই ইস্যুতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল রাজ্যে পাঠানোও হয়। যেহেতু জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি স্বশাসিত সংস্থা, তাই এবার পাল্টা তৃণমূলও দ্বারস্থ হল কমিশনের কাছে।
এবার বিজেপির বিরুদ্ধে ভগবানপুর এলাকায় সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল। গত শুক্রবার থেকে দুই পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভূপতিনগর বারোজ, অর্জুননগর, বরোজ দক্ষিণখণ্ড, বাসুদেববেড়িয়া, ইটবেড়িয়ার মতো এলাকা।
তৃণমূলের অভিযোগ, এলাকায় নবনির্বাচিত বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতির মদতে কিছু দুষ্কৃতী বন্দুক নিয়ে তাঁদের কর্মীদের উপর হামলা চালায়। ৯০ থেকে ৯৫টি বাড়িতে ভাঙচুর, লুঠপাট, বোমাবাজির মতো ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে তৃণমূলের একজন কর্মী আক্রান্ত হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি বলেও খবর পাওয়া গিয়েছে। এবার এই ঘটনার অভিযোগ তুলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে নালিশ জানাল তৃণমূল নেতৃত্ব।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তরুণ জানা জানান, কারা আসলে বহিরাগতদের দিয়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে, তা এলাকায় এলেই বোঝা যাবে। নির্বাচনের সময়ও এই একই কায়দায় সন্ত্রাস করে বন্দুক দিয়ে ভয় দেখিয়ে ভোটে জিতেছে বিজেপি। ভোট মিটে গেলেও এখনও এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের ঘরছাড়া করতে চাইছে তাঁরা।
তিনি জানান, এই বিষয়ে ভূপতিনগর থানায় অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি মানবাধিকার কমিশনের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছি। যদিও এই বিষয়ে পাল্টা অভিযোগ করেছে বিজেপিও। তাদের দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। প্রায় ৪০ থেকে ৪৫টি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন।
Be the first to comment