পশ্চিমবঙ্গে বাড়ল বিধিনিষেধের মেয়াদ। আগামী ১৫ অগস্ট পর্যন্ত তা কার্যকর হবে। এবারও লোকাল ট্রেন চালুর অনুমতি দিল না নবান্ন। সেইসঙ্গে রাত ন’টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত চলাফেরায় যে বিধিনিষেধ ছিল, তাতে আরও কড়াকড়ি করেছে নবান্ন। বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, ৫০ শতাংশ উপস্থিতি নিযে রুদ্ধদ্বার সরকারি অনুষ্ঠান করা যাবে।
এছাড়াও মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ববিধি-সহ যাবতীয় করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্য, আইন-শৃঙ্খলা, কৃষিকাজে উৎপাদিত দ্রব্য-সহ জরুরি পরিষেবা ছাড়া রাত ন’টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত চলাফেরার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ বজায় থাকবে।
তবে মোটের উপর খুব একটা বিধিনিষেধ শিথিল হয়নি। গত ১৬ জুলাই থেকে যে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল, তা জারি আছে।
একনজরে দেখে নিন কী কী নিয়মবিধি থাকছে –
১) স্কুল, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র-সহ যাবতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
২) রাজ্যের মধ্যে বাস, অটো, ট্যাক্সি, ক্যাব, ট্রাম এবং জলপরিবহন চালু থাকবে। সর্বাধিক ৫০ শতাংশ যাত্রী উঠতে পারবেন। চালক এবং কর্মীদের টিকা নিতে হবে।
৩) লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলবে।
৪) সাধারণ যাত্রীদের জন্য সপ্তাহে পাঁচদিন মেট্রো চলাচল করবে। শনিবার এবং রবিবার বন্ধ থাকবে মেট্রো পরিষেবা।
৫) সিনেমা হল এবং স্পা বন্ধ থাকবে।
৬) সুইমিং পুল বন্ধ থাকবে। তবে রাজ্য, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের সাঁতারুদের জন্য সকাল ৬ টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত সুইমিং পুল খোলা থাকবে।
৭) যাবতীয় রাজনৈতিক বা সামাজিক বা সাংস্কৃতিক বা বিনোদন সংক্রান্ত জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা থাকছে।
৮) স্বাভাবিক সময়বিধি মেনে সরকারি অফিস চলবে। ২৫ শতাংশ কর্মী উপস্থিত থাকতে পারবেন।
৯) সকাল ৬ টা থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত প্রাতঃভ্রমণ এবং ব্যায়ামের জন্য পার্ক খোলা থাকবে। শুধুমাত্র টিকাপ্রাপ্তরা ঢুকতে পারবেন।
১০) আগে সব দোকান এবং বাজার (অত্যাবশ্যকীয় এবং অনাবশ্যকীয় দোকান) দোকান যেমন খোলা হত, তেমনভাবেই খোলা যাবে অর্থাৎ সাধারণ সময়েই দোকান রাখা যাবে।
১১) এবার থেকে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ৩ টে পর্যন্ত ব্যাঙ্ক খোলা রাখা যাবে।
১২) আগে যেমন খোলা থাকত, সেই সময় হোটেল, শপিং মল এবং ক্লাবের রেস্তোরাঁ ও পানশালা খোলা যাবে। তবে রাত আটটার পর রেস্তোরাঁ ও পানশালা খুলে রাখা যাবে না।
১৩) শপিং মল এবং মার্কেট কমপ্লেক্সের খুচরো দোকান সাধারণ সময় যেমন খোলা থাকত, তেমনই খোলা রাখা যাবে। তবে ৫০ শতাংশ লোকবল থাকবে। একই সময় সর্বাধিক ৫০ শতাংশ ক্রেতা বা মানুষ ঢুকতে পারবেন।
১৪) সকাল ৬ টা থেকে সকাল ৯ টা এবং বিকেল ৪ টে থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত জিম খোলা থাকবে। ৫০ শতাংশ মানুষ উপস্থিত থাকতে পারবেন।
১৫) সাধারণ সময়মতো সেলুন, বিউটি পার্লার খোলা থাকবে। ৫০ শতাংশ মানুষ উপস্থিত থাকতে পারবেন।
১৬) সাধারণ সময়মতো বেসরকারি অফিস খোলা রাখা যাবে। টিকাকরণ, মাস্ক বিধি, সামাজিক দূরত্বের বিধির ভিত্তিতে সর্বাধিক ৫০ শতাংশ কর্মী উপস্থিত থাকতে পারবেন।
১৭) দর্শকছাড়া স্টেডিয়াম বা স্পোর্টস কমপ্লেক্স খেলা হতে পারে।
১৮) সর্বাধিক ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কারখানা, মিল এবং তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কাজ চলতে পারে।
১৯) ই-কমার্স ও হোম ডেলিভারি চালু থাকবে।
২০) পেট্রল পাম্প, গ্যাসের দোকান খোলা থাকবে।
Be the first to comment