বৃহস্পতিবার দিনভর দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টা এরকম পরিস্থিতি চলবে। সেইসঙ্গে আগামী দু’তিন ঘণ্টায় দুই পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। যদিও উত্তরবঙ্গে বৃহস্পতিবার তেমন বৃষ্টি হবে না।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের জানানো হয়েছে, আজ দিনভর দুই পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, ঝাড়গ্রামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত (৭০-২০০ মিলিমিটার) হবে। ওই ছয় জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং দুই বর্ধমানে কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। সেখানেও ৭০-২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতের (৭০-১১০ মিলিমিটার) পূর্বাভাস আছে।
আর সেই পূর্বাভাস মতোই বুধবার রাত থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মাঝেমধ্যে কিছুটা থামলেও সূর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। কিছুক্ষণ পর আবারও জোরে বৃষ্টি নামছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে ৬৬.৫ মিলিমিটার। বেশিরভাগটাই বুধবার রাত থেকে শুরু হয়েছে। তার জেরে কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। জলমগ্ন হয়েছে শহরের নীচু এলাকাগুলি। একই অবস্থার জেলারও। সেখানেও বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। সকালে খড়্গপুর স্টেশনের ঢোকার মুখে ধসও নামে।
কিন্তু এরকম প্রবল বৃষ্টির কারণ কী? আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের খুলনার কাছে একটি গভীর নিম্নচাপ অবস্থান করছিল। বৃহস্পতিবার সেটি বাংলার উপর দিয়ে যাচ্ছে। তার ফলে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। গভীর নিম্নচাপটি বিহারের দিকে যাওয়ায় শুক্রবার পশ্চিমের জেলাগুলিতে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
Be the first to comment