বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চলা নাগাড়ে বৃষ্টিতে কার্যত ভাসছে গোটা কলকাতা। উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র জলমগ্ন। কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। কোথাও আবার বাড়িতে জল ঢুকেছে এলাকায়। জলমগ্ন শহরে মাঝ রাস্তায় বিকল হয়ে পড়েছে একাধিক যানবাহন। সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে দুর্যোগ নেমে এসেছে কলকাতার বুকে। প্রশাসনের তরফে ২৪ ঘণ্টার জন্য খোলা হয়েছে জরুরিকালীন কন্ট্রোল রুম।
৬টি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির জন্য লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। কলকাতায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়াও চলছে। আর্মহার্স্ট স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া, কলেজ স্ট্রিট, মুক্তারামবাবু স্ট্রিট, মানিকতলা, সুখিয়া স্ট্রিট অঞ্চল পুরো জলমগ্ন। উত্তর ও মধ্য কলকাতার পাশাপাশি জল জমেছে দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে বন্ধ হয়েছে যান চলাচল। ভাসছে সিআইটি রোড। এমজি রোডে কোমর সমান জল। রুবি পার্ক, কালীঘাট, রাসবিহারী, গড়িয়া সহ একাধিক এলাকায় জল জমেছে। এদিকে বেহাল অবস্থা বেহালার। কোনও কোনও অংশে হাঁটু জল তো কোথাও আবার একতলা বাড়ির ভেতর জল ঢুকে ঘটেছে বিপত্তি।
একাধিক এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেড়েছে বৃষ্টির পরিমাণ। সন্ধ্যা থেকেই অফিস ফেরত যাত্রীরা রাস্তায় বিপাকে পড়েছেন। তবে যত সময় যাচ্ছে, বৃষ্টির দাপট ততই বাড়ছে। মাঝে মাঝে হাওয়ার দাপট দেখা দিচ্ছে। বৃষ্টির জেরে রাস্তায় দৃশ্যমানতা কমে একাধিক গাড়ি খারাপ হওয়ার খবর মিলেছে। বাইপাসে যানজটের জেরে রাত পর্যন্ত আটকে পড়েছেন যাত্রীরা।
তবে, শুক্রবার থেকে কলকাতা সহ শহরতলী এলাকায় আবহাওয়ার উন্নতি হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঘণীভূত নিম্নচাপ ক্রমশই পশ্চিমের দিকে সরে যাওয়ায় শুক্রবার বিকেল থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার থেকে বৃষ্টির দাপট বাড়বে পুরুলিয়ায়। প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাসে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা।
Be the first to comment