পেগাসাস–সহ নানা ইস্যুতে তোলপাড় হয়ে গিয়েছে সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভা এবং নিম্নকক্ষ লোকসভা। এই পরিস্থিতিতে সংসদ চালানো কার্যত কঠিন হয়ে পড়ছে। তার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডুকে চিঠি দেওয়া হলো। বিরোধীদের মধ্যে কংগ্রেসের পরই বৃহত্তর দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে এই চিঠি নিয়ে বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছে।
কেন এই চিঠি পাঠানো হয়েছে? জানা গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শান্তনু সেনকে সংসদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কারণ তিনি যে আচরণ করেছিলেন তার প্রেক্ষিতেই এই পদক্ষেপ করা হয়। সেই সাসপেনশন তুলে নিতেই চিঠি দেওয়া হয়েছে। কী করেছিলেন সাংসদ শান্তনু সেন? সেদিন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের হাত থেকে নথি ছিনিয়ে নিয়ে দু’টুকরো করে ফেলেছিলেন। সবাই দাঁড়িয়ে সে দৃশ্য দেখেছিলেন। ওই লিখিত নথিতে পেগাসাস নিয়ে তথ্য উল্লেখ ছিল।
এরপরই কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং সাসপেন্ড করা হয় শান্তনু সেনকে। সেদিনও তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়েছিল অন্যান্য সাংসদরা। এবার ৩০ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানে এই শাস্তি তুলে নিতে আবেদন করা হয়েছে। আর তাতে সম্মতি জানিয়েছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম, সিপিআইএমের রাজ্যসবার সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
এই চিঠির পাশাপাশি ১২ জন সাংসদ—পি চিদম্বরম, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, দিগ্বিজয়সিং, রামগোপাল যাদব, ভাইকো এবং প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী অবিলম্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীকে পদচ্যুত করার পক্ষে সওয়াল করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শান্তনু সেনের অভিযোগ, এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সংসদে তাঁকে গালাগালি করেছেন। এখন দেখার এই চিঠির প্রতিক্রিয়া কি হয়।
Be the first to comment