সংগ্রামপুর বিষমদকাণ্ডে আগেই শনিবারই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল খোঁড়া বাদশাকে। এদিন তার সাজা শোনাল আলিপুর আদালত। নুর ইসলাম ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশাকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে।
প্রায় এক দশক আগে ২০১১ সালে ১৩ ডিসেম্বর সংগ্রামপুরে বিষমদকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছিল ১৭২ জনের। মগরাহাট, উস্তি, মন্দিরবাজার-সহ ডায়মন্ড হারবার এলাকার মানুষেরা প্রাণ হারান। এছাড়া হাসপাতালে থাকার পর যারা বাড়ি ফিরে এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের শরীরে চিরকালীন সমস্যা রয়ে গিয়েছে। বিশেষ ভাবে সক্ষম হয়ে গিয়েছে কেউ কেউ। সেই ঘটনায় সাড়া পড়ে গিয়েছিল রাজ্যে। ঘটনার তদন্তভার একসময় যায় সিআইডি হাতে। মাস খানেক পুলিশের থেকে লুকিয়ে থাকার পর আত্মসমর্পন করে খোঁড়া বাদশা।
শনিবার বিষমদ কাণ্ডে খোঁড়া বাদশাকে দোষী সাব্যস্ত করার পর, তার কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছিলেন মৃতদের পরিবারের লোকেরা। খোঁড়া বাদশার ফাঁসি চেয়ে সরব হন তাঁরা। অন্যদিকে বাদশার ছেলে সাজা ঘোষণার আগে জানিয়েছিলেন, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকে বাবা শুধুই কেঁদে চলেছেন। সাজা ঘোষণার সময় আদালতে থাকব’। অন্যদিকে এই অভিযোগের প্রমাণ না মেলায় তপন মণ্ডল, শাকিলা বিবি, স্বপন মাঝি, সহ সাত জনকে বেকসুর খালাস করে আদালত।
মগরাহাটে বিলন্দপুর গ্রামে বাড়ি নুর ইসলাম ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশার। একসময় এই গ্রামে চোলাই মদ বিক্রির সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল বাদশা। কিন্তু ২০১১-এর ওই ঘটনার পর এখন সেখানে চোলাই মদের ঠেক অনেক কম বলে জানা গিয়েছে।
প্রথম মামলাটি করা হয়েছিল উস্তি থানায়। দ্বিতীয় মামলাটি হয় মগরাহাট থানায়। উস্তি থানার মামলায় ২০১৮ সালে খোঁড়া বাদশা সহ চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। এতদিন যে মামলাটি চলছিল সেটি মগরাহাট থানার মামলা। সেই মামলাতেই এদিন সাজা ঘোষণা হল খোঁড়া বাদশার।
Be the first to comment