ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় শুনানি শেষ হল মঙ্গলবার। এদিনের শুনানিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে ক্রুটিপূর্ণ বলে সওয়াল করেন অভিষেক মনু সিংভি। রাজ্য ডিজির হয়ে এদিন সওয়াল করছিলেন তিনি। শুনানিতে NHRC কমিটির কয়েকজন সদস্যের দিকে আঙুল তোলেন সিংভি।
তিনি বলেন, রিপোর্ট দেখলেই বোঝা যায় পক্ষপাতদুষ্ট। সব দলিল শোনার পর এদিনের মতো মামলার শুনানি শেষ হয়। আপাতত রায়দান স্থগিত রেখেছে পাঁচ সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ। সিট গঠন করে অথবা NIA-এর মতো কোনও নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতির তদন্ত করানোর নির্দেশ আসে কিনা সেই দিকে তাকিয়ে রাজ্য।
মঙ্গলবার এদিন শুনানির শুরুতেই NHRC ৫০ পাতার রিপোর্ট নিয়ে অভিষেক মনু সিঙঘি তীব্র কটাক্ষ, ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ দলের এই রিপোর্ট একটা ধাঁধার মত এবং ত্রুটিপূর্ণ। আমরা এই কমিটির দু তিনজন সদস্যের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছি। সহজাতভাবেই বোঝা যায় যে এরা পক্ষপাত দুষ্ট। যদি একজন সদস্যের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে তাহলেই এই রিপোর্ট খারিজ করে দেওয়া উচিত এবং এই রিপোর্টকে কলুষিত বলে আখ্যা দেওয়া উচিত। ‘ কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘৯ জুলাই এই কমিটির একজন সদস্য আতিফ রশিদ একজন পুলিশ সুপারের সাথে কথোপকথনের ভিডিয়ো তার টুইটার হ্যান্ডেলে আপলোড করেছিলেন। ১৩ জুলাই কমিটি তাঁর চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেছিল। কমিটির মনোভাব ৯ জুলাইয়ের ওই কথোপকথন থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ‘
এমনকী একজন সদস্য বিজেপির সঙ্গে যুক্ত সেই তথ্যের উপস্থাপনা করে তিনি বলেন, ‘পক্ষপাতিত্বের উপযুক্ত কারণ রয়েছে বলে আমরা মনে করছি। এই কমিটি এবং তার রিপোর্ট গোটা প্রক্রিয়াকে কলঙ্কিত করছে।’ এখানেই শেষ নয়, সিঙঘির অভিযোগ, ‘ অভিযোগ পত্রের ধরন দেখে মনে হচ্ছে যেন এগুলো আগে থেকেই তৈরি করা ছিল, এই রিপোর্টে ২৯ এপ্রিলের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে, যা কিনা ভোটের ফল ঘোষণার আগে হয়েছে। কমিটির মনোভাব এমন ছিল যে, যা অভিযোগ আসবে সবটাই রিপোর্ট এর মধ্যে ঢুকিয়ে দাও। এখানে যে অভিযোগগুলোর কথা বলা হয়েছে তার বেশির ভাগেরই ভোট-পরবর্তী হিংসার সঙ্গে কোন যোগ নেই।’
Be the first to comment