৩ মাস কেটে গেলেও উপনির্বাচন নিয়ে কোণও হেলদোল নেই, ফের কমিশনের দ্বারস্থ পার্থ-সুব্রতরা

Spread the love

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসার পর ৩ মাস সময় কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও সেই পদের স্থায়িত্বের কোণও গ্যারান্টি নেই কারণ, ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচনে জয়লাভ না করে এলে ইস্তফা দিতে হবে তাঁকে কিন্তু উপনির্বাচন ঘোষণা নিয়ে এখনও কোনও হেলদোল দেখাচ্ছে না নির্বাচন কমিশনের। বিষয়টি নিয়ে গত মাসেই রাজধানীতে নির্বাচন কমিশের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। শুক্রবার ফের তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে এই নিয়ে দরবার করেন।

রাজ্যের ৫ টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন এবং দু’টি কেন্দ্রে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন এখনও বাকি। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, বিধানসভা ভোট মেটার ৬ মাসের মধ্যেই এগুলির আয়োজন করতে হবে। কিন্তু সেই ধরনের কোনও প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় খানিকটা হলেও বিচলিত তৃণমূল কারণ, ভবানীপুর আসনেই উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা রয়েছে। এই বিষয়টি নিয়েই শুক্রবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকে সঙ্গে দেখা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শশী পাঁজারা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এখন করোনার প্রকোপ কম। তাই বিধিনিষেধ মেনে অবিলম্বে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব।

সিইও-র সঙ্গে বৈঠকের পর এ দিন পার্থবাবু বলেন, “আমরা কিছু চিঠি নির্বাচন কমিশনের থেকে পেয়েছি, তাতে বোঝা যাচ্ছে যে হয়তো বা একটা-দুটো ধাপ কাজ এগিয়েছে। কিন্তু নির্বাচন মণ্ডলী এ ব্যাপারে সজাগ হচ্ছেন না।” নাম না করে বিজেপিকে তাঁর তোপ, “যাঁরা গণতন্ত্র রক্ষা করার কথা বলছেন, তাঁরাই এই রাজ্যে গণতন্ত্রের অন্যতম প্রক্রিয়া নির্বাচনকে ঢিলেমি দেওয়ার ও দীর্ঘায়িত করার একটা চেষ্টা চালাচ্ছেন। নির্বাচন কমিশন যেন এই ধরনের কোনও ঘটনায় প্রভাবিত না হন সেই কথাও আমরা জানিয়েছি। এবং অবিলম্বে নির্বাচনের দিন ঘোষণার জন্য আবেদন করেছি।”

পার্থবাবু আরও বলেন, “করোনার সময় আমরা বলেছিলাম ৮ দফায় নির্বাচন না করাতে। কিন্তু কমিশন শোনেনি। তারা নির্বাচন ৮ দফায় করেছিল। আজ করোনা অনেকটাই কমেছে, সব বিধিনিষেধ মেনেই নির্বাচন হোক। এখানে কথা বলে আমরা কিছুটা সন্তুষ্ট, কিছু কাজ এখানকার অধিকারিকরা করেছেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশন থেকে এখনও কোনও সদর্থক ভূমিকা দেখতে পাইনি।” 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*