সময় হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও রাজ্যের একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন করানো হচ্ছে না কেন? উপনির্বাচন যাতে সময় মতো হয়, সেই নির্দেশ দিক কলকাতা হাইকোর্ট ৷ এই দাবিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের ডিভিশন বেঞ্চে দায়ের হয়েছে একটি জনস্বার্থ মামলা ৷
মামলাকারীর আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার জানিয়েছেন, ভারতীয় সংবিধানের ৩২৪ ধারায় বলা আছে, উপনির্বাচন যদি সময় মতো না করা হয়, তাহলে তার জন্য দায়ী থাকবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৷ যে কেন্দ্রগুলিতে জনপ্রতিনিধি নেই, সেখানকার জনকল্যাণমূলক সমস্ত কাজই থমকে রয়েছে ৷ পাশাপাশি রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতিও প্রায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে ৷ মামলাকারীর প্রশ্ন, তাহলে কেন নির্বাচন করা হচ্ছে না?
মামলাকারীর দাবি, মহামারী আইনের যুক্তি খাড়া করে যেভাবে উপনির্বাচনের বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ৷ রাজ্যের যেক’টা কেন্দ্রে নির্বাচন ও উপনির্বাচন করানোর কথা, সেখানে অবিলম্বে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিক মহামান্য হাইকোর্ট ৷ মামলাকারীর তরফে এমনটাই আবেদন জানানো হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, কলকাতার ভবানীপুর-সহ খড়দা, শান্তিপুর, দিনহাটা ও গোসাবায় উপনির্বাচন করাতে হবে ৷ এবং নির্বাচন করাতে হবে সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ৷
প্রসঙ্গত, নিয়ম অনুযায়ী কোনও কেন্দ্রের বিধায়ক পদ খালি হয়ে গেলে তার ছ’মাসের মধ্যে সেখানে উপনির্বাচন করাতে হয় ৷ কিন্তু মে মাসের শুরুতেই রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফলাফল ঘোষিত হয়ে যাওয়ার পর চার মাস পার হয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু এখনও উপনির্বাচন করানো নিয়ে বিশেষ কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ছে না ৷ রাজ্য়ের শাসকদলের প্রশ্ন, করোনা যখন তুঙ্গে, তখন আট দফায় বিধানসভা ভোট করাতে কোনও সমস্যা হল না নির্বাচন কমিশনের ৷ তাহলে এখন উপনির্বাচন নিয়ে এত টালবাহানা করা হচ্ছে কেন ? এই প্রেক্ষাপটে অবিলম্বে উপনির্বাচন করানোর দাবি তুলেছেন মামলাকারী ৷ আগামী সপ্তাহে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷
Be the first to comment