ফের গেরুয়া শিবিরে ভাঙন। এবার তৃণমূলে যোগদান করলেন কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায়। শনিবার তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তিনি যোগদান করেন রাজ্য শাসকদলে। এই নিয়ে মোট ৪ জন বিজেপি বিধায়ক যোগ দিলেন তৃণমূলে।
২ মে একুশের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়। বিধানসভা নির্বাচনে মোট ৭৭টি আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি কিন্তু, আগেই ৩ জন বিজেপি বিধায়ক যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। সবার প্রথম বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যান মুকুল রায়। এরপরেই ঘাসফুল শিবিরে প্রত্যাবর্তন করেন বিশ্বজিৎ দাস এবং তন্ময় ঘোষ। এছাড়াও নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার বিধায়ক পদ গ্রহণ করেননি। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭১।
এদিকে তৃণমূলে যোগদানের পর সৌমেন রায় বলেন, ‘ আমার মন,প্রাণ তৃণমূলে ছিল। দিদি উত্তরবঙ্গের জন্য লড়াই করছেন। এই উন্নয়নের কাজে অংশ নিতেই আমি দলে যোগদান করেছি। মাঝে যে সময়টুকু আমি ছিলাম না, সেটা আমার ভুল। আমি বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম। আমি তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আমি আগামীদিনে দিদির উন্নয়নে সামিল হতে পারলে নিজেকে কৃতার্থ মনে করব।’ এদিন তিনি তাৎপর্যপূর্ণভাবে মন্তব্য করেন, ‘শুধু আমি নয়, দিদির উন্নয়নকে সামনে রেখে আরও অনেকে দলে আসবেন।’
অন্যদিকে, বিগত কয়েকদিন ধরে নিজের বিধানসভা এলাকায় গরহাজির ছিলেন সৌমেন। এমনকী, ছেড়েছিলেন বিজেপির গ্রুপও। বরাবর মুকুল অনুগামী হিসেবেই পরিচিত সৌমেন। সেক্ষেত্রে তাঁর তৃণমূলে ফেরার জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল। এদিকে, সৌমেন রায়ের তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, একসময় বিজেপির টিকিট পাওয়ার জন্য ছুটেছেন সৌমেন। একে তাকে ধরে টিকিট পেয়েছেন। দলের কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে তাঁকে জিতিয়েছিলেন। আমাদের বেশ কয়েকজনকে নিয়ে সন্দেহ ছিল। সেই তালিকায় নাম ছিল সৌমেনেরও। আমাদের আশঙ্কাই সত্যি হল।’
Be the first to comment