হাইকোর্টের নির্দেশে খুশি বিশ্বভারতীর আন্দোলনকারীরা

Spread the love

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে খুশি পড়ুয়া ও অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা। বহিষ্কৃত ৩ পড়ুয়াকে পঠন-পাঠনে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ এটাই মূল দাবি ছিল আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের। এমনকী ১২ দিন ধরে বিশ্বভারতীতে যে আন্দোলন চলছে, তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নিতে হবে, এমনটাও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

গত ২৭ আগস্ট থেকে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবন ঘেরাও করে চলছে বিক্ষোভ। চারদিন ধরে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন সঙ্গীত ভবনের বহিষ্কৃত ছাত্রী রূপা চক্রবর্তী ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। সম্প্রতি ৩ পড়ুয়াকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই বহিষ্কার প্রত্যাহারের দাবিতে চলছিল আন্দোলন।

এরই মাঝে ভবনের সামনের বিশৃঙ্খলা সরানোর জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে বহিষ্কার প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ৩ পড়ুয়াকে অবিলম্বে পঠন-পাঠনে ফেরাতে হবে। লঘু পাপে গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলেও মন্তব্যও করেন বিচারপতি। পাশাপাশি বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস থেকে সমস্ত রকমের আন্দোলন প্রত্যাহারেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ দিন আদালতের পর্যবেক্ষণে খুশি পড়ুয়া, অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা। তাঁরা জানাচ্ছেন, তাঁদের মূল দাবি ছিল বহিষ্কৃত পড়ুয়াদের পঠন-পাঠনে ফেরাতে হবে। আপাতত সেই নির্দেশই দিয়েছে আদালত ৷ তবে আদালতের নির্দেশ মেনে ‘বিশ্বভারতী -শান্তিনিকেতন বাঁচাও যৌথ মঞ্চ” আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলেও জানান তাঁরা ৷

সঙ্গীত ভবনের অনশনকারী ছাত্রী রূপা চক্রবর্তী বলেন, “প্রাথমিক ভাবে আমাদের জয় হয়েছে। আমাদের মূল দাবি ছিল বহিষ্কার প্রত্যাহার করতে হবে। রায়ের সম্পূর্ণ কপি হাতে পেলে আমরা আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*