ভবানীপুর উপনির্বাচনে বামফ্রন্টের প্রার্থী হচ্ছেন শ্রীজীব বিশ্বাস । আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাস ৩০ সেপ্টেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়বেন। স্বাভাবিকভাবেই লড়াই কঠিন প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের কাছে। যদিও এই নিয়ে সরাসরি মুখ খুলতে রাজি নন প্রাক্তন ডিওয়াইএফআই নেতা। তবে বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই সারা বছরের। তাই একটি নির্বাচনে লড়াই দিয়ে তার মূল্যায়ন করা ঠিক নয়। অন্যদিকে সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থীরও নাম ঘোষণা করা হয়েছে ৷
কংগ্রেস ভবানীপুর উপনির্বাচনে প্রার্থী না দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লড়াইয়ের জমি ছাড়তে রাজি নয় বামেরা। ইতিমধ্যে তারা কেবলমাত্র ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ঘোষণাকে কটাক্ষ করেছে। এই কেন্দ্রের উপনির্বাচন ঘিরে রাজ্যের মুখ্যসচিবের বাড়তি উদ্যোগকে সমালোচনা করেছে বামেরা। এই অবস্থায় বিধানসভা নির্বাচনে এখনও পর্যন্ত একটিও আসন না পাওয়া বামফ্রন্ট শাসকদলের সবচেয়ে হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াই করে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিতে চায়।
বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধে মাটি কামড়ানো লড়াই ছুড়ে দিয়েছিলেন বাম প্রার্থী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সেকথা মাথায় রেখেই ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রার্থী নিয়ে আলোচনায় বসে মিনাক্ষীর নামও উঠেছিল। কথা হয়েছিল নন্দিনী মুখোপাধ্যায়ের নাম নিয়েও। শেষপর্যন্ত শ্রীজীব বিশ্বাসকে মনোনীত করা হয়।
এদিকে, ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরের পাশাপাশি আরও দুই কেন্দ্রে নির্বাচন রয়েছে ৷ তবে ভবানীপুরে উপনির্বাচন ৷ আর সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে হচ্ছে সাধারণ নির্বাচন ৷ কারণ নির্বাচনের আগেই ওই দুই কেন্দ্রের প্রার্থী মারা যান ৷ এই দুই কেন্দ্রেও প্রার্থী ঘোষণা করেছে বামেরা ৷ ৫৬-এর সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে বামফ্রন্ট মনোনিত সিপিএম প্রার্থী হচ্ছেন মহঃ মোদাসসার হোসেন ৷ 58 জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মফ্রন্ট মনোনিত আর এস পি প্রার্থী হচ্ছেন জানে আলম মিঞা ৷
Be the first to comment