জীবনযুদ্ধে পরাস্ত মুম্বইয়ের নির্ভয়া, শেষ হলো লড়াই

Spread the love

সাকি নাকা কাণ্ডে নিগৃহীত মহিলার মৃত্যু হল ঘাটকোপারের হাসপাতালে। শুক্রবার তাঁকে ধর্ষণ করার পর গোপনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দিয়েছিল অভিযুক্ত। ৩৩ ঘণ্টা ধরে লড়াই চালিয়েও, শেষরক্ষা হল না। জীবনযুদ্ধ থেমে গেল বছর ৩০ -এর মহিলার। শুক্রবার কন্ট্রোল রুম মারফত খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল পুলিশ। রক্তাক্ত অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করে ঘাটকোপারের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল।

সূত্রের খবর, এদিন মহিলার সার্জারিও হয়। তবে শেষরক্ষা হল না। চিকিৎসকরা আগাগোড়াই জানিয়েছিলেন মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্বাভাবিকভাবেই নির্ভয়ার স্মৃতি ফিরল এই ঘটনায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তার পাশে পার্ক করা একটি টেম্পোর মধ্যেই মহিলাকে নিগ্রহ করা হয়েছিল। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত মোহিত চৌহানকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। ধৃত মোহিত চৌহানের (৪৫) বিরুদ্ধে খুন এবং ধর্ষণের (ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ও ৩৭৬) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বর্তমানে ধৃত সাকিনাকা থানায় রয়েছে।

এদিন সকালেই মুম্বইয়ের মেয়র কিশোরী পেদনেকার বলেছিলেন, ‘নির্যাতিতার জ্ঞান ফেরেনি। তাঁর চিকিৎসা চলছে’। শনিবার সকালে শিবসেনার MLC মনীষা কায়ান্ডে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘মহিলার সার্জারি হয়েছে। তবে এখনও তিনি বিপন্মুক্ত হননি। নির্যাতিতার বয়স ৩২-৩৪ এর কাছাকাছি। তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের মা’। রাজনীতিক জানিয়েছিলেন, ‘অভিযুক্ত একা ওই ঘটনা ঘটিয়েছিল, নাকি এটি গণধর্ষণের ঘটনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ’। জানা গিয়েছে, গৃহহীন ছিলেন ওই মহিলা।

জানা গিয়েছে, ওই ঘটনা ঘটিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। কুরলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃতকে চরম শাস্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছে প্রশাসন। সাকি নাকা কাণ্ডে দ্রুত চার্জশিট গঠন করার আশ্বাস দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মাও বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করার কথা বলেছেন। এদিকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেও গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মহারাষ্ট্রের বিরোধি দলনেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ জানিয়েছেন, তিনি ওই ঘটনায় স্তম্ভিত।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*