গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রথম কামারহাটি পুর এলাকায় ডায়ারিয়ার প্রকোপের বিষয়টি নজরে আসে। এরপর এনিয়ে নমুনা পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তারপরই বোঝা যায় এলাকায় কলেরার প্রকোপ হয়েছে। এরপর নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দফতর। বিভিন্ন এলাকায় সমীক্ষা শুরু হয়। হ্যালোজেন ট্যাবলেট. ওআরএস, জলের গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেডিকেল টিমও এলাকায় গিয়েছে। কিন্তু তবুও এখনও এলাকায় কলেরার প্রকোপ বিশেষ কমেনি। এটাই স্বাস্থ্য দফতরের মাথাব্য়াথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কামারাহাটি ও সংলগ্ন পুর এলাকায় বাড়়ি বাড়়ি গিয়ে খোঁজ নিয়েছেন পুর প্রতিনিধিরা। এরপরই শনিবার নতুন করে ৪৪ জনের শরীরে কলেরার উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তারা সকলেই কামারহাটির ১ থেকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এই রোগ যাতে না ছড়ায় সেটা নিশ্চিত করাটাই স্বাস্থ্য দফতরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
এদিকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে অনেকে ভর্তি ছিলেন। বর্তমানে সেই সংখ্যাটা প্রায় ১৪৬জন। অনেককে ছুটিও দেওয়া হয়েছে। আবার অনেকে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন। আগামী কয়েকদিন এই কলেরার পরিস্থিতির উপর পুরপ্রশাসন কড়া নজরদারি রাখবে। কোথাও যাতে অবস্থা বাড়াবাড়ি না হয়ে যায় সেটাও দেখছে স্বাস্থ্য দফতর। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কামারহাটি পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য বিমল সাহা বলেন, সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
Be the first to comment