এবার সরাসরি পুলিশের বিরুদ্ধেই প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুললেন ভবানীপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেয়াল। সাদা পোশাকে পুলিশের নিরাপত্তা দেওয়া নিয়েই প্রশ্ন তুললেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ তাঁর ওপর নজরদারি করার জন্য রয়েছে। পুলিশ সরকারের দালালির কাজ করছে। এইরকম দালালের তাঁর প্রয়োজন নেই।
বৃহস্পতিবার ভবানীপুরে প্রচারে বেরিয়ে পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেয়াল। প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ, তিনি কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে কোনও নিরাপত্তা চাননি। কিন্তু তাঁর পিছনে সাদা পোশাকে ২০ জন পুলিশকে নিরাপত্তার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব পালন করতেই পারেন। কিন্তু তাঁরা ইউনিফর্ম পরে আসুক। বিনা ইউনিফর্মে সাদা পোশাকে ঘুরছেন কেন?
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের তরফে বিজেপি প্রার্থীকে কোভিড বিধি ভাঙার অভিযোগ তুলে চিঠি পাঠানো হয়। সেই প্রসঙ্গ তুলেই প্রিয়াঙ্কা এদিন জানান, ‘আমার পিছনে প্রচুর লোক আছে, সেই ছবি তুলে নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে ২০ জন পুলিশকে সাদা পোশাকে আমার পিছনে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যাতে দেখানো যায় প্রচুর লোক হচ্ছে। যদি পুলিশকে আসতেই হয়, ইউনিফর্ম পরে আসুক। ইউনিফর্ম পরে এলে তো আমি বলতে পারব, সে আমার পিছনে এতজন পুলিশ ছিল।’
একই সঙ্গে পুলিশের ভূমিকার নিন্দা করে বিজেপি প্রার্থী জানান, ‘যে পুলিশ মেয়েদের সম্মান রক্ষা করতে পারেন না, এমন পুলিশের কোনও প্রয়োজন নেই। আমার কলকাতা পুলিশের নিরাপত্তারক্ষী চাই না।’ এদিন তৃণমূল নেত্রীকে অসম্মান করা নিয়ে বিজেপি প্রার্থী জানান, ‘আমাকে বড় দেখানোর জন্য কাউকে ছোট করে দেখানো উচিত। আমাদের মধ্যে মতাদর্শগত পার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু কাউকে অসম্মান করা উচিত নয়।’ এর আগে বুধবারও একই ঘটনা ঘটে। ওইদিন সকালে ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারে প্রচার শুরু করেন প্রিয়াঙ্কা। দেবেন্দ্র ঘোষ রোডে প্রচার সারছিলেন তিনি। বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার চলছিল। বাড়ির বাসিন্দারা তাঁকে দেখে ভবানীপুরের ‘ঘরের মেয়ে’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে স্লোগান দেন। স্থানীয়দের মুখে ‘ঘরের মেয়ে’র নামে স্লোগান শুনে মেজাজ হারান প্রিয়াঙ্কা।
Be the first to comment