ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচারের শুরু থেকেই অগ্রণী ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। নিম্নচাপের দুর্যোগকে মাথায় নিয়ে পথে নেমেছেন তিনি। মানুষের পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও প্রশ্নের জবাব দিয়ে চলেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎই দেখা গেল তাঁর নামে নালিশ ঠোকা হল নির্বাচন কমিশনের দফতরে। নালিশ ঠুকেছেন বিজেপি নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন ফিরহাদ হাকিম। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে উস্কানি দিচ্ছেন। তাই তাঁকে সরিয়ে দিতে হবে প্রচার থেকে।
এমনকী ভবানীপুরে উপনির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফিরহাদ হাকিমকে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন বিজেপি নেতারা। পাশাপাশি এখানে অন্তত ৪০ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েনের আর্জি জানান।
বিজেপি নেতারা নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি করেছেন, এই উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতাতে তৃণমূল কংগ্রেস সমাজবিরোধীদের জড়ো করা শুরু করেছে। তাই এখানে অন্তত ৪০ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করা হোক। আর বাকি দুটি কেন্দ্র, সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে অন্তত ২৫ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করার দাবি তোলা হয়েছে।
এই বিষয়ে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ভবানীপুর এলাকায় অনেক বুথে বিজেপি–তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে ব্যবধান বেশ কম। তাই নন্দীগ্রামে লড়তে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পরাজিত হয়ে এখন আবার ভবানীপুরে ফিরে এসেছেন। পুরসভার প্রশাসক তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কীভাবে ছাপ্পা ভোট মেরে মমতাকে জেতানো যায় তার পরিকল্পনা শুরু করেছেন।’
নির্বাচন কমিশনে ফিরহাদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য, মসজিদ থেকে নির্বাচনী প্রচার চালানো–সহ উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ জানানো হয়েছে। এই নিয়ে লকেট বলেন, ‘অবিলম্বে ভবানীপুরে ফিরহাদ হাকিমের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা যাতে জারি করা হয় তার আর্জি জানানো হয়েছে।’ এই মন্তব্যের পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন স্বতন্ত্র সাংবিধানিক সংস্থা। সেখানে আজগুবি অভিযোগের কোনও মূল্য নেই।’
Be the first to comment