দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডির সমনের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলা বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতির। কয়লাকাণ্ডে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমন পাঠায় ইডি। জেরার জন্য ডেকে পাঠানো হয় দিল্লিতে। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুজিরা দিল্লি যেতে পারবেন না বলে জানান।
কিন্তু, ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইডি অফিসে হাজিরা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মণ্ড হারবারের সাংসদকে প্রায় সাড়ে আট ঘণ্টা জেরার পরও আরও দুবার সমন পাঠিয়েছে ইডি। ২১ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে তলব করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয় সমন পাঠিয়েছে ইডি। এরপরই আদালতে এই সমনের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলা করেন অভিষেক-রুজিরা।
প্রসঙ্গত, ৬ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত সময়েই দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন অভিষেক। সকাল ১১টায় ইডি দফতরে ঢুকেছিলেন তিনি। দু’দফা মিলিয়ে প্রায় ৯ ঘণ্টারও বেশি সময়ের জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব মিটিয়ে বেরিয়েই ক্রুদ্ধ অভিষেক বলেন, ‘সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। যা করার করে নিন। আমি মাথা নত করব না। মেরুদণ্ড বিক্রি করব না।’ তাঁর অভিযোগ,’ বিজেপি বিরোধিতা করলেই হেনস্তা। কলকাতার কেস টেনে এনেছে দিল্লিতে। আমার বিরুদ্ধে তথ্য থাকলে সামনে আনুন। যাদের টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, রাজনৈতিক কারণে তাদের বিরুদ্ধে নীরব কেন্দ্রীয় সংস্থা।’
কয়লা কাণ্ডে অভিষেকের পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু, মহামারী পর্বে ছোট সন্তানদের ছেড়ে তাঁর পক্ষে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন রুজিরা। ইডি দফতরে মেইল করে তিনি জানিয়ে ছিলেন, কলকাতাতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যবস্থা করুক কেন্দ্রীয় সংস্থা। নির্বাচনের আগেও অভিষেকের বাড়িতে গিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা রুজিরাকে জেরা করেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনবার সমন পাঠিয়ে তলব করলেও রুজিরার ক্ষেত্রে আর নতুন কোনও সমন এখনও ইস্যু করেনি ইডি।
সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজের ক্ষোভ উগরে এর আগে তিনি বলেছিলেন, ‘কেউ বলছে ১০০ কোটির স্ক্যাম, কেউ বলছে ১০০০ কোটি। আমি বলছি যদি ১০ পয়সারও দুর্নীতি থাকে প্রমাণ করে দেখান। আমি বলছি আমার পিছনে ইডি সিবিআই লাগানোর দরকার নেই। সোজা ফাঁসির মঞ্চ গড়ে দিন। আমি মৃত্যুবরণ করব।’ অভিষেকের কথায়, তিনি নভেম্বরেও যা বলেছিলেন, আজও সেই একই কথাই বলবেন। যে কোনও তদন্তেই তাঁর কোনও সমস্যা নেই।
Be the first to comment