প্রথম তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয় তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর। দুটি তারিখ ঘোষণা করেও ত্রিপুরায় পদযাত্রা করতে পারছেন না তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ প্রথমবার অনুমতি মেলেনি পুলিশের। আর দ্বিতীয়বার, সরকারের গেরো। আর তা নিয়ে আদালত পর্যন্ত গড়াল বিষয়টি।
ঠিক কী ঘটেছে? আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরায় পদযাত্রা করতে চেয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে ত্রিপুরা হাইকোর্ট ত্রিপুরা সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলের অনুমতি নিয়ে সরকারের নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। মঙ্গলবার বিপ্লব দেবের সরকার নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়ে দিল। সেখানে বলা হয়েছে, কোভিড আবহে এবং পুজোর কথা মাথায় রেখে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে কোনও রাজনৈতিক মিটিং, মিছিল বা সভা করা যাবে না। হলফনামা দিয়ে ত্রিপুরা হাইকোর্টকে এই কথাই জানাল ত্রিপুরা সরকার।
এই হলফনামার পরই ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা ঘিরে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কারণ উত্তর–পূর্বের রাজ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হচ্ছে আজ থেকে। তা নিয়ে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। রাজ্যের নীতির বিষয়ে ত্রিপুরা হাইকোর্টও হস্তক্ষেপ করতে চাইছে না। সুতরাং আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মিছিল, মিটিং, জমায়েত—বিশ বাঁও জলে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই পদযাত্রা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। তাঁদের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও সরকারের পক্ষ থেকে সাড়া দেওয়া হচ্ছে না। তারপরেই ত্রিপুরা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে সরকারকে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তৎক্ষণাৎ সাড়া দিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে বিপ্লব দেবের সরকার। তার প্রেক্ষিতে আদালত জানিয়ে দেয়, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে কোনও হস্তক্ষেপ নয়।
Be the first to comment