সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে অবশেষে বাতিল করা হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রিপুরা সফর। ত্রিপুরা সরকারের অসহযোগিতার জন্য আগেই ধাক্কা খেয়েছিল আজকের অর্থাৎ ২২ সেপ্টেম্বরের অভিষেকের কর্মসূচি। মঙ্গলবার আদালতের রায়ের পর বুধবারের ত্রিপুরা সফর বাতিল করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ৷ ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ত্রিপুরায় যেকোনও ধরনের জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিপ্লব দেব সরকার । প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে সরকারের এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে ত্রিপুরা হাইকোর্ট। এরপরই কর্মসূচি বদলের সিদ্ধান্ত নিল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূল সূত্রের খবর, ত্রিপুরা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের পর, সেখানে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করতে চলেছে তৃণমূল। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে বলা হবে, কয়েকদিন আগেই লক্ষাধিক মানুষ নিয়ে মিছিল করলেও তৃণমূলকে আটকাতে কোনও গণতান্ত্রিক দেশের অঙ্গরাজ্যের সরকার যখন বিরোধীদের জন্য আইন প্রয়োগ করে তখন আদালত কি শুধু নীরব দর্শক হয়েই থাকবে? এর পাশাপাশি ত্রিপুরাজুড়ে যে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে তার ব্যাখ্যাও বিপ্লব দেব সরকারের কাছে চাইতে পারবে তৃণমূল কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে ইন্ডোরে সভা করা যায় কি না তা নিয়েও আদালতের কাছে জানতে চাইবে। যদি ইন্ডোরে সভা করা হয় সেক্ষেত্রে কত জনকে নিয়ে সভা করা যাবে? সে ক্ষেত্রে কী কী বিধি-নিষেধ থাকবে সে সম্পর্কেও আদালতকে স্পষ্ট করতে হবে তৃণমূলকে ৷ সেই কারণেই আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে তারা।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বলা হচ্ছে, ত্রিপুরা প্রশাসন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয় পেয়েছে। তাই যেন-তেন প্রকারেণ তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকাতে চাইছে তারা। এদিন এই নিয়ে ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা আশিসলাল সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “ত্রিপুরার রাজ্য সরকার যেকোনও প্রকারে এরাজ্যে তৃণমূলের বিস্তার আটকাতে চাইছে। বিপ্লব দেব চাইছেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেতারা ত্রিপুরায় আসুক। তাই তারা যেকোনও উপায়ে হোক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকাতে চাইছে। কিন্তু এভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকানো যাবে না। এই মুহূর্তে ১৪৪ ধারার কারণে অভিষেকের সফর বাতিল হলেও তিনি আসবেনই। তৃণমূল আইন-শৃঙ্খলাকে গুরুত্ব দিয়েই তাঁর কর্মসূচি পালন করবে।”
Be the first to comment