কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জোট কী হবে? জাতীয় রাজনীতি এবং রাজ্য–রাজনীতিতে এখন এই প্রশ্ন নিয়েও শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বলেছেন, কংগ্রেসের যাঁরা ‘মাথা’, সিবিআই–ইডি তাঁদের গায়ে হাত দেয় না কেন? সিপিআইএম সম্পর্কেও একই প্রশ্ন তাঁর। আর তাঁর মন্তব্য, ওরা জানে, মমতা মাথা নত করে না। ওরা বলতে বিজেপিকে ইঙ্গিত করেছেন তিনি। আর কংগ্রেস–সিপিআইএমকে একই আসনে দাঁড় করিয়ে দেওয়ায় জোট এখন প্রশ্নের মুখে।
নয়াদিল্লি সফরে গিয়ে তিনি নিজে ১০ জনপথে দেখা করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুলের সঙ্গে। কিন্তু হঠাৎই যেন তাল কেটেছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে এবার কংগ্রেসকে একহাত নিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ভবানীপুরের প্রচারে মমতার প্রশ্ন, বিজেপি শাসিত সরকার কেন কংগ্রেস নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তোলেনি? এই মন্তব্য সামনে আসতেই ক্রমে প্রশ্ন উঠছে বিরোধী ঐক্য নিয়ে। নির্বাচনী প্রচারে তিনি বলেন, ‘মমতা যাতে কিছুতেই ক্ষমতায় না আসতে পারে, এটাই ছিল ওদের টার্গেট। তাই ওকে যে কোনওভাবে হারাতে হবে। সিপিআইএম বাংলায় কত বছর ক্ষমতায় ছিল? ৩৪ বছর। কত অন্যায় করেছে? ওদের বিরুদ্ধে একটা সিবিআই–ইডি মামলা করেছে? কিছু করেনি। শুধু চিদম্বরমের গায়ে হাত দিয়েছে কিন্তু কংগ্রেসের মাথার গায়ে তো হাত দেয়নি।’
এই মন্তব্যই এখন রাজনীতিতে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। উল্লেখ্য, একদিন আগেই মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরের জোড়া সভা থেকে কংগ্রেসকে কড়া আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস দুই দলই বিজেপিকে হারাতে চায়। কিন্তু তফাত একটাই। কংগ্রেস সব জায়গায় বিজেপির কাছে হারে। আর তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপিকে হারায়।’
ঠিক কী বলেছেন মমতা? নির্বাচনী সভায় তাঁর তোপ, ‘আমাদের দলের কে বাদ আছে? যে পার্টিটা সব থেকে সৎ, সব থেকে নির্ভীকভাবে লড়াই করে, তাদের সবাইকে ডেকে পাঠাচ্ছে। সৌগত রায়ের মতো মানুষকে ডেকে পাঠাচ্ছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বাদ দেয়নি। ছেলে, মেয়ে, বাড়ির কাজের লোকেদেরও পর্যন্ত ডাকছে। সবাইকে ওরা মেনে নিতে পারে, বোঝাপড়া করে নিতে পারে। কিন্তু জানে মমতা মাথা নত করে না। বোঝাপড়া করে না।’
Be the first to comment