ভবানীপুরে আক্রান্ত সুজন চক্রবর্তী, বাম প্রার্থীর প্রচারে বাধার অভিযোগ

Spread the love

‘‘আমরা তো অপ্রাসঙ্গিক ৷ তাহলে আমাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে কেন ?’’ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে এসে এভাবেই সুজন চক্রবর্তীর প্রচারে বাধাদান নিয়ে কটাক্ষ ছুড়লেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ৷ দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিএম তথা বামেদের প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস ৷ তাঁর সমর্থনেই রবিবার সকালে প্রচার কর্মসূচিতে সামিল হন সুজন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়া হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটে ঢুকতে গেলেই তৃণমূলের বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁকে ও তাঁর দলীয় সহকর্মীদের বলে অভিযোগ ৷ দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধস্তাধস্তি, বাকবিতণ্ডা ৷ ঘটনায় জখম হন বাম সমর্থক ও কর্মীরা ৷ নিগৃহীত হয়েছেন সুজন চক্রবর্তী নিজেও।

টনার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুজন বলেন, ‘‘আমাদের কাছে আরও-এর অনুমতি রয়েছে ৷ সেই অনুমতি নিয়েই প্রচারে বেরিয়েছি আমরা ৷ তৃণমূল কে? ওরা অনুমতি দেওয়ার কেউ নয় ৷ রাজ্যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷ তৃণমূল আসলে ভয় পেয়েছে ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় কুঁকড়ে গিয়েছেন ৷ তাই বারবার বলছেন, আমাকে ভোট দিন ৷ কেন? ওঁকে ভোট না দিলে কী হবে? দলে তো আরও বিধায়ক রয়েছেন ৷ অনেক প্রবীণ নেতা আছেন ৷ তাঁরা কি কম যোগ্য ? তাঁরা নিজেরাও তো বলছেন, আমরা কি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের থেকে কম যোগ্য ? আসলে ওঁকেই মুখ্যমন্ত্রী হতে হবে ৷ অন্য কেউ হলে চলবে না ৷’’

এরপরই ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে কেন ? আমরা তো অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছি ৷ তাহলে আমাদের প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে কেন ?’’ প্রসঙ্গত, ভবানীপুর উপনির্বাচনের আগে এদিনই ছিল শেষ রবিবার ৷ তাই প্রচারে জোর দিয়েছিলেন সব দলের প্রার্থীরাই ৷ বামেরাও তার ব্যতিক্রম নন ৷ কিন্তু সেই কর্মসূচি ঘিরেই কার্যত ধুন্ধুমার বেধে যায় ৷ তবে এই প্রথম নয় ৷

এর আগেও ভবানীপুরের ভোট প্রচারে অশান্তি হয়েছে ৷ পুলিশের বিরুদ্ধে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল ৷ এমনকী, এক পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানিরও অভিযোগ তোলেন তিনি ৷ যার জেরে ওই পুলিশকর্তাকে ভোটের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*