বর্ণপরিচয়ের রূপকার পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০১ তম জন্মজয়ন্তীতে তাঁকে স্মরণ করলেন বিশিষ্টরা ৷ রবিবার এই উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ৷ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, নেত্রীরা সেইসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ৷
এর পাশাপাশি, অনেকেই টুইটে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন বিদ্যাসাগরকে ৷ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নায়ডু, টুইটারে এই মহাপুরুষকে স্মরণ করেন তাঁরা।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় লেখেন, ‘‘ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মজয়ন্তীতে তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ্য ৷ তিনি এমন একজন সমাজ সংস্কারক ছিলেন, যিনি সুবিচার ও সাম্যের দাবিতে অক্লান্তভাবে লড়াই করে গিয়েছেন ৷ আমরা আজও তাঁর কাছে ঋণী ৷’’
আবির্ভাব দিবসে বিদ্যাসাগরকে স্মরণ করতে ভোলেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিতা শাহও ৷ একইসঙ্গে, বাংলা ও হিন্দিতে দু’টি টুইট করেছেন তিনি ৷ বিদ্যাসাগরকে ‘মহামানব’ বলে সম্বোধন করে তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেছেন অমিত ৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘বঙ্গ নবজাগরণের অগ্রদূত বিদ্যাসাগর তাঁর প্রগতিশীল চিন্তাধারা দিয়ে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভাবাদর্শের সমন্বয়ে, কুসংস্কারমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন ৷ বর্ণবৈষম্য বিরোধী বিদ্যাসাগরের হাতেই বাংলা ভাষা হয়েছে সজীব প্রাণবন্ত ৷ এই মহামানবের জন্মবার্ষিকীতে জানাই প্রণাম ৷’’
এছাড়াও এদিন বিদ্যাসাগরের স্মৃতিতে টুইট করেন উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নায়ডু ৷ তিনি লেখেন, ‘‘ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মজয়ন্তীতে তাঁকেই স্মরণ করছি ৷ নারীর অধিকার কায়েম করতে শিক্ষাকে হাতিয়ার করেছিলেন তিনি ৷ বিধবা বিবাহকে সমর্থন করতেন তিনি ৷ ছিলেন বাল্যবিবাহের তীব্র বিরোধী ৷ নারীর উন্নয়নে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে ৷’’
প্রসঙ্গত, ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর অবিভক্ত মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ পরবর্তীতে তিনিই পরিচিত হন বিদ্যাসাগর নামে ৷ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে জীবন কাটালেও নারীশিক্ষায় তাঁর অবদান প্রশ্নাতীত ৷ বাংলার নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন তিনি ৷ ছিলেন আধুনিকতার পক্ষপাতী ৷ বাংলা বর্ণমালা তাঁরই সৃষ্টি ৷
Be the first to comment