উপনির্বাচনে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ভবানীপুর উপনির্বাচন। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষ রবিবাসরীয় প্রচার। সমর্থনে হাজির সঙ্গীতশিল্পী নচিকেতাও। সাদরে অভ্যর্থনা জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ও এখানে এসেছে, আমি খুব খুশি। তবে একটা গান শুনিয়ে যাবে। ওর গান আমার খুব ভাল লাগে।’
রবিবারের মঞ্চ থেকেই মোদী সহ বিজেপি পার্টিকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘এরা জুমলা পার্টি। হেরে গিয়ে এজেন্সি পাঠাচ্ছে। বাইরে থেকে এসে উস্কানি দিচ্ছে। আমরা চাইলে কান মুলে ফেরত পাঠিয়ে দিতাম।’ ভবানীপুর থেকেই যে জাতীয় রাজনীতিতে নজর তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন। বলেন, ‘ ভবানীপুর থেকে জিতে ভারতবর্ষের লড়াই লড়তে হবে। ভুলেও ওদের ভোট দেবেন না। এখন গ্যাসের দাম একহাজার হয়েছে। জিতলে দশ হাজার করে দেবে। ভবানীপুর জেতার পর আমরা অন্য রাজ্যেও যাব। বিজেপি শাসিত রাজ্যে কেউ থাকতে পারে না। বিজেপি জীবন নিতে জানে, নিতে জানে না। যা ইচ্ছে তাই করছে বিজেপি। এদের দেশ ছাড়া করতেই হবে। বিজেপি শাসিত রাজ্যে মানুষ মুখ খুলতে পারে না। বিজেপিকে দেশছাড়া করবই।’
বাকি বিজেপি শাসিত রাজ্যপ্রধানদের আক্রমণ করেন মমতা। অসমের পরিস্থিতির প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘বিজেপি তো ডান্সিং ড্রাগন। মৃতদেহ উপর উঠে নাচছে। মৃতদেহ দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়া কোনও পার্টির কাজ হে পারে না। অসমে মানবাধিকার না থাকলেও সেখানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যায় না। তারা শুধু পশ্চিমবঙ্গে আসে।’
ত্রিপুরার বিজেপি সরকারকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, অভিষেক সভা করতে যাবে এই ভয়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। এখন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, কোর্ট কী করবে? এই মন্তব্যের জন্য ডিফেমেশন কেস করতে পারেন তাঁর বিরুদ্ধে। আমার কাছে এই ভিডিও এসেছে, আমি আপনাদের দেব। ১৪৪ ধারা আসলে অভিষেককে আটকাচ্ছে।
একইসঙ্গে মোদীকে তীব্র কটাক্ষ মমতার। তিনি বলেন, ‘না পারে গাইতে, না পারে নাচতে। গান করলেও স্বরলিপিটা জানতে হয়। পারে শুধু ছবি তুলতে। খালি ছবি তুলছে। আমি শুধু ভাবি, কবে এরা একে অপরের ছবি দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে যাবে।’ পাসাপাশি এদিন ভোটমঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের একপ্রকার রিপোর্ট কার্ড পেশ করেন। তিনি বলেন, ‘ কথা দিয়ে কথা রাখা আমার কাজ। দুয়ারে সরকার থেকে বাচ্চাদের পড়ার জন্য স্মার্ট ফোন, সবুজ সাথী যা বলেছি তাই করেছি। সাড়ে বারো লক্ষ ছেলেমেয়ের অ্যাকাউন্টে ফোন কেনার জন্য দ লকডাউনের সময় সকলের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করেছি।
মমতা আরও জানান, কোভিডের মধ্যে গিয়েও সবাইকে খাবার দিয়ে এসেছে। সকলের জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছি। সকলে যাতে ভ্যাকসিন পায় তার ব্যবস্থা করেছি। দুদিনের মধ্যে আবার দুর্যোগ কিন্ত, রাজ্য সরকার প্রস্তুত আছে বলে আশ্বস্ত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝড়বৃষ্টি হলে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে সাবধান হওয়ার আর্জি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।’
Be the first to comment