তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে কলকাতায় পৌঁছলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরো ৷ বুধবারই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে যোগ দেবেন বলে জানা গিয়েছে ৷ আজ, মঙ্গলবার কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা জানান রাজ্যের দমকলমন্ত্রী তথা হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা সুজিত বসু।
সোমবারই কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ ও বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন লুইজিনহো ফালেইরো। এরপর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসাও শোনা যায় ফালেইরোর গলায়। ইস্তফা দেওয়ার পর নিজের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে লুইজিনহো ফালেইরো বলেন, ‘‘আমি কংগ্রেসে নির্যাতিত ছিলাম। আমি চাই গোয়াবাসীদের দুঃখ শেষ হোক। আমি নির্যাতিত হয়েও চুপ ছিলাম। আমিই যদি এমন আক্রান্ত হতে পারি, তাহলে ভাবুন সেই গোয়াবাসীদের কী অবস্থা, যাঁরা কংগ্রেসকে ক্ষমতায় আনার জন্য ভোট দিয়েছিলেন।’’ মঙ্গলবার কলকাতায় পা রেখেই তিনি জানালেন, বিরোধী শক্তির মধ্যে মমতাই মুখ। তাই তার উপরই ভরসা রাখছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরার মতোই গোয়াতেও জমি তৈরির চেষ্টা করছে তৃণমূল। আর সেখানেও তাঁদের নজরে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতা-নেত্রীরা। আর এই আবহেই ভোটমুখী গোয়ায় ধাক্কা খেল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, লুইজিনহো ফালেইরোকে সামনে রেখেই গোয়ায় সংগঠন সাজানোর কাজ চালাবে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর একে একে আরও একাধিক বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেবেন। দু’দফায় বছর খানেকের জন্য গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন লুইজিনহো ফালেইরো। ছিলেন এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদকও। ২০১৩-তে উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যের কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক পদে নিয়োগ করা হয় তাঁকে।
সূত্রের খবর, ত্রিপুরার পাশাপাশি গোয়াতেও সমীক্ষার কাজ চালাচ্ছে প্রশান্ত কিশোরের টিম আই-প্যাক। সম্প্রতি গোয়া সফরে গিয়েছিলেন তৃণমূলের দুই সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোর পরে গোয়া যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
৪০ আসনের গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে তৃণমূল। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে গোয়ায় ভোট। তার আগে উপকূলবর্তী এই রাজ্যে সংগঠন বিস্তারের লক্ষ্যে তৃণমূল কতটা সফল হয়, সেটাই এখন দেখার।
Be the first to comment