রাজনৈতিকভাবে আলাদা মতাদর্শে বিশ্বাসী হলেও, বন্ধুর একমাত্র পরিচয় সে বন্ধু। হতেই পারে মতামত ভিন্ন কিন্তু তা বলে বন্ধুকে দেখে কি আর রাজনীতি করা চলে? এমনই এক বিরল দৃশ্যের সাক্ষী থাকলো বৃহস্পতিবারের চেতলা। উপনির্বাচনের দিন সকালে ফিরহাদ হাকিমকে খোশমেজাজে চা খেতে দেখা গেলো সিপিআইএমের ক্যাম্পে ৷ না, ফিরহাদ হাকিম অবশ্য এটাকে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকার বলতে নারাজ ৷ তাঁর কথায়, “কেউ সিপিআইএম, কেউ কংগ্রেস, আবার কেউ তৃণমূল ৷ তবে সবার আগে আমরা চেতলার ছেলে ৷ অনেক ছোটবেলা থেকে আমরা সবাই পাড়ার ছেলে ৷ আমরা সবাই বন্ধু ৷ এটাই চেতলার সংস্কৃতি ৷
ফিরহাদ আরও বলেন, ওদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছি, ফুটবল খেলেছি ৷ ওরা সিপিআইএম, কংগ্রেস করে বলে তো ঝগড়া করতে যাব না ৷ আমাদের ক্যাম্পের পাশেই ওদের ক্যাম্প ৷ বন্ধুর সঙ্গে দেখা হলে বলবো না কেমন আছিস?
প্রসঙ্গত, এদিন ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিআইএমের ক্যাম্পে স্থানীয় বন্ধু সিপিআইএম কর্মী মিঠু ঘোষের সঙ্গে চা খান ফিরহাদ হাকিম। এই বিষয়ে সিপিআইএম কর্মী মিঠু ঘোষ বলেন, চেতলায় কোনওদিন ভোটে গণ্ডগোল হয়নি, আর হবেও না ৷ এখানে শুধু সৌজন্যতার রাজনীতি চলে ৷ ববিদার সঙ্গে আমাদের পারিবারিক একটা সম্পর্ক আছে ৷ আমরা দুজন দুজনকে বহুদিন ধরে চিনি ৷ এখানে কোনও হিংসাত্মক রাজনীতি নেই ৷
Be the first to comment