সরকারের উদাসীনতার কারণেই রাজ্যে এই বন্যা পরিস্থিতিঃ শুভেন্দু অধিকারী

Spread the love

ভোটব্যাঙ্ক নিয়েই ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিকাঠামো উন্নয়নে কোনও মনই নেই। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধী নেতা ও প্রাক্তন সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর নিশানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সরকারের উদাসীনতার কারণেই রাজ্যে এই বন্যা পরিস্থিতি বলে তোপ দেগেছেন বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, গত কয়েকমাসে খানাকুল, ঘাটাল সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক অঞ্চল বারংবার প্লাবিত হওয়ায় সেই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, লোকসভায় বিপর্যয়ের পর এই সরকার উন্নয়নের জন্য স্থায়ী পরিকাঠামোতে বিশ্বাস করে না। খরচ করে না। উন্নয়নের খাতে বাজেট বরাদ্দ ছেটে দিয়েছে। ভোট ব্যাঙ্ক তৈরির লক্ষ্যে ভাতা নিয়ে রাজনীতি করতে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী এবং শাসকদল। এই নীতির অনিবার্য পরিণাম হিসাবে দক্ষিণ বঙ্গ বারবার বন্যার কবলে পড়েছে। সংকটে গরিব মানুষ।

শুক্রবার সকালে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এটা ম্যান মেড বন্যা। খুবই অন্যায় করেছে এভাবে জল ছেড়ে। এই প্লাবন বৃষ্টির জন্য হয়নি।’ না জানিয়ে ব্যারাজ থেকে জল ছাড়া পাপ বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ‘ অনেকবার বলেছি এভাবে জল ছাড়বে না। না জানিয়ে রাত ৩ টে নাগাদ জল ছেড়ে দিলে ঘুমন্ত মানুষ এমনিতেই ভেসে যাবে। ‘ ঝাড়খণ্ডের বোঝা কেন বাংলা নেবে? এই প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুভেন্দুর আরও সংযোজন, ‘DVC-র দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মমতা। কিন্তু তা ঠিক নয়। DVC জল ছাড়ার বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট কমিটি আছে। যার সদস্য রাজ্য সেচ দফতরের সচিব এবং পশ্চিমাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিফ ইঞ্জিনিয়ার। তাদের পরামর্শ ছাড়া জল ছাড়ে না DVC।’ এখানেই শেষ নয়, বিরোধী দলনেতার কটাক্ষ, ‘ঠিক আছে তর্কের খাতিরে নয়, ধরে নিলাম ডিভিসির জলে ভাসছে আরামবাগ। তাহলে কলকাতা ভাসছে কীসের জলে। গত দুমাসে কলকাতার মানুষ ১০ বার ভেসেছেন, সেটা হল কেন?’

অতীতে বাংলার সেচ মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই কথা মনে করিয়ে তিনি বলেন, ‘সেচ দফতরের আমি ১১ মাস দায়িত্বের ছিলাম। যার মধ্যে ৮ মাস লকডাউন ছিল। তাই কোনও প্রকল্পে টাকা খরচ করতে পারিনি। আমি ছাড়ার পর ভোট পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেচ মন্ত্রী দায়িত্বে ছিলেন।’ শুভেন্দু অভিযোগ, দায়িত্বে থাকাকালীন কোনও কাজই করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খানাকুল, ঘাটালের প্রথম বর্ষায় ভেঙে যাওয়া বাঁধও এখনও মেরামতি হয়নি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*