আকাশপথে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের পর সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে আরামবাগে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরামবাগের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা কালিপুরে পৌঁছয় মমতার কনভয়। এখনও ‘ম্যান মেড বন্যা’র তত্ত্বে অনড় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছু না জানিয়েই জল ছাড়া হয়েছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর মধ্যারাত থেকে শুরু হয়েছে জল ছাড়া। মোট সাড়ে পাঁচ লাখ কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। রাজ্যকে না জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত। আমাদের সঙ্গে বসে একটা পরিকল্পনা করতে পারত।’ একইসঙ্গে ডিভিসি-এর উপর ক্ষোভ উগরে মমতার বক্তব্য, ‘ক্ষতিপূরণ চাইতে পারে রাজ্য।’
শনিবার এদিন এলাকা পরিদর্শনের পর মমতা বলেন, ‘প্রায় এক লাখ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ড্রেজিং করলে আরও জল ধরে রাখা সম্ভব হত। কোনও আলোচনা করেনি। আমরা মিলেমিশেই থাকতে চাই। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকার তা করেনি। আমফানেও করেনি, বুলবুলেও করেনি, ইয়াসেও করেনি, এবারেও করছেনা। এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আর কত ধৈর্য্য ধরব।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানান, প্রায় চার লাখ মানুষকে বন্যা কবলিত এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রায় এক লাখ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মতার অনুরোধ, ‘ওরা আমাদের বন্ধু রাজ্য। আমরা অনুরোধ করছি তাদের বাঁধগুলির যেন সংস্কার করা হয়। নাহলে আমাদের জল টাকা জলে চলে যাচ্ছে। ক্ষোভ বাড়ছে। একবার করে বাড়ি তৈরি করছে, একবার করে জল এসে ডুবিয়ে দিচ্ছে। আমি চাই না কোনও রাজ্যের সঙ্গে কোনও রাজ্যের ক্ষোভ বাড়ুক।’
পাশাপাশি বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনের পর নবান্নে জরুরি বৈঠকে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর ৩টে নবান্নে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক রয়েছে। অংশগ্রহণ করবেন বন্যা কবলিত রাজ্যের জেলাশাসক এবং সব দফতরের প্রধান সবিচরা।
অন্যদিকে এদিন, দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কিছুটা কমানো হয়েছে। সকালে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪০০ কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছিল। বেলা বাড়তে তা কিছুটা কমিয়ে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪০০ কিউসেক করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃষ্টি না হলে ধীরে ধীরে আরও কমানো হবে জল ছাড়ার পরিমাণ।
Be the first to comment