বিজেপি ছাড়ার জল্পনা নিয়ে মুখ খুললেন হিরণ

Spread the love

নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সম্বর্ধনা সভায় তাঁর অনুপস্থিতি জল্পনা বাড়িয়েছিল। তবে কি এবার দল ছাড়ছেন হিরণ? যাবতীয় জল্পনায় জল ঢাললেন বিধায়ক নিজেই। খড়্গপুর সদরের বিজেপি বিধায়কের কথায়, ‘আমি বিজেপিতেই আছি। বাজারের কথা বাজারেই থাক।’ তবে কেন তিনি সুকান্ত মজুমদারের সম্বর্ধনা সভায় অনুপস্থিত ছিলেন, তা নিয়ে জবাব দিলেন নিজেই।

শুক্রবার রাজ্য বিজেপির নয়া সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সম্বর্ধনা সভা এবং পরিষদীয় দলের বৈঠক ছিল। সেখানে গরহাজির ছিলেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। বাবুল সুপ্রিয় থেকে শুরু করে কৃষ্ণ কল্যানী। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক বাড়তে থাকায় বিধায়কের অনুপস্থিতি জল্পনা উস্কে দিয়েছিল। এ প্রসঙ্গে হিরণ বলেন, ‘আমি ভারতীয় জনতা পার্টিতেই রয়েছি। গত রবিবারই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাড়িতে গিয়েছিলাম। দু’ঘণ্টা সময় কাটাই সেখানে। আমার পূর্ব নির্ধারিত ব্যক্তিগত কাজ ছিল। আগেই জানিয়েছিলাম দলকে। দলের বৈঠকটাও ঘটনাচক্রে ওইদিন পড়ে গিয়েছিল। তাই আমি যেতে পারিনি। এমনকী বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীও বিধায়কদের নিয়ে যে বৈঠক ডেকেছিলেন, সেখানেও যেতে পারিনি।’

পাশাপাশি দলবদলের গুঞ্জনকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন হিরণ। তাঁর দাবি, খড়্গপুরের মানুষের জন্য নিরন্তর কাজ করে চলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘খড়্গপুরের কোনও উন্নয়ন হয়নি আজ পর্যন্ত। এখানে শুধু রাজনীতি হয়ে গিয়েছে। রাজনীতিবিদরা শুধু ভোটের সময় ভোট চেয়ে যান। গত তিন মাসে আমি আমি প্রথম বিধায়ক যে কেন্দ্রের কাছে একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছি। খোদ জেপি নাড্ডাজি বলেছেন, যে তাঁর এতবছরের রাজনৈতিক কেরিয়ারের ইতিহাসে তিনি এমনটা কখনও দেখেননি। একজন বিরোধী দলের বিধায়ক মাত্র তিনমাসের মধ্যে এলাকার উন্নয়নে এতরকমের রিসার্চ করে এতগুলি প্রকল্প জমা করছে, এমনটা তিনি কখনও দেখেননি বলে জানিয়েছেন।’

তবে কেন তাঁকে নিয়ে দলবদলের জল্পনা? হিরণের কথায়, ‘আসলে আমি খড়্গপুর IIT এবং রেলের প্রজেক্ট নিয়ে বিরোধীতা করেছিলাম। সকলে ভেবেছে এটা তো তৃণমূল করবে। হিরণ কেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রজেক্টের বিরুদ্ধে সরব? আসলে আমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছি। মানুষের ভালোর জন্য এমনটাই করব।’

হিরণ আরও জানান, খড়্গপুরের স্মার্ট সিটি প্রকল্প, এয়ারোপোর্ট তৈরির জন্য পরিষেবার জন্য আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করেছি। জঙ্গলমহল এলাকায় তিনি বাড়ি নিয়ে থাকছেন বলেও জানান। সেখানেই আদিবাসী ছেলেমেয়েদের শিক্ষার প্রসারে তিনি প্রকল্প জমা করেছেন বলেও জানান। রাজ্য সরকারের তরফে কোনও সাহায্য মিলছে না বলেও অভিযোগ বিধায়কের। তাঁর কথায়, ‘এখানে বিভৎস বৃষ্টি হয়েছে। ৩০০ বাড়ি বৃষ্টিতে ধুয়ে গিয়েছে। আমি এক হাঁটু জলে নেমে আমি ত্রিপল বিলি করেছি। ১২০০ ত্রিপল বিলি করেছি। কোভিডের সময়ও অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে গিয়েছি কলকাতা থেকে। অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করেছি। গরীব মানুষকে নিজের পয়সা দিয়ে ওষুধ কিনে দিয়েছি। অথচ এখানকার DM রেশমি কমল আমার ফোন তোলেন না। কোনও সহযোগীতা করেন না।’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*