উপনির্বাচনের পর্ব মিটলেই রাজ্যে পুরনির্বাচন! শনিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এই নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। এদিন নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অক্টোবরের শেষ উপনির্বাচন হয়ে গেলে আমাদের অন্যান্য নির্বাচন রয়েছে। সেদিকে আমরা যাব।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ভবানীপুরের উপনির্বাচন এবং মুর্শিদাবাদের আরও দুই কেন্দ্রের নির্বাচন ইতিমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে ৩০ অক্টোবর শান্তিপুর, খড়দহ, গোসাবা ও দিনহাটা এই চারটি কেন্দ্রের উপনির্বাচন। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পুজোর সময় কাউকে বিরক্ত করবেন না। পুজোও করতে হবে, ভোটও হবে। পুজোর দিনগুলোতে যাতে প্রচার না করা হয় সেই আবেদন থাকবে।’
পুরনির্বাচন কেন হচ্ছে না, এই নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। বর্তমানে প্রশাসক মণ্ডলী পুরসভার কার্যভার সামলাচ্ছেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। কাউন্সিলররা ওয়ার্ড কো অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করছেন। বিরোধীদের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও রাজ্যে পুরভোট নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না রাজ্য। এমনকী, ভবানীপুর উপনির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেই রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘রাজ্যের একাধিক পুরসভায় নির্বাচন বাকি। রাজ্য সরকার দাবি করছেন বাংলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। সেক্ষেত্রে কেন পুরনির্বাচন করা হচ্ছে না!’
এই প্রেক্ষাপটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে রাজ্যে উপনির্বাচনগুলির পরেই পুরনির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহলের একাংশ। এদিন নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, যে চারটি জেলায় উপনির্বাচন রয়েছে অর্থাৎ উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং কোচবিহার সেগুলি বাদ দিয়ে বাকি জেলাগুলিকে দুই মাসের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রকল্প একসঙ্গে দেওয়া হবে।
তবে যে চারটি জেলায় নির্বাচন রয়েছে সেখানকার বাসিন্দারা কোনওভাবেই বঞ্চিত হবেন না বলে জানান তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘উপনির্বাচন হয়ে গেলেই তাঁরা এই অর্থ পেয়ে যাবেন। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের টাকা নভেম্বরে পেয়ে যাবেন।’ এছাড়াও রাজ্যের পুজো উদ্যোক্তাদের পুজোর জন্য ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
Be the first to comment