শনিবার দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে গান্ধী জয়ন্তী। আর আজই সারাদিন টুইটারে ট্রেন্ডিং হ্যাশট্যাগ ‘গডসে জিন্দাবাদ’। এই ইস্যুতেই এবার গর্জে উঠলেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী। এই ধরনের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করলেন তিনি। তাঁর মতে, গান্ধীজির জন্মদিনে গডসের নামে এই ধরনের স্লোগান আদতে গোটা জাতির অপমান। তিনি টুইটে প্রতিবার জানিয়েছেন। বরুণ গান্ধী লিখেছেন, ‘যারা গডসের প্রশংসা করে স্লোগান দিচ্ছে, তারা আসলে নির্লজ্জভাবে দেশকে লজ্জিত করছে।’
টুইটে তোপ দেগে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘ভারত চিরকালই আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে সবার ওপরে। আর মহাত্মার হাত ধরেই, সেই আধ্যাত্মিকতার আবহ তৈরি হয়েছে। তাঁর আদর্শেই আমাদের নীতি তৈরি হয়েছে। আজও তিনিই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। তাই যারা আজ ‘গডসে জিন্দাবাদ’ বলে টুইট করছেন, তাঁরা আসলে নির্লজ্জভাবে দেশকেই লজ্জিত করছেন।’
জাতির জনক হিসেবেই ভারতে বন্দিত মহাত্মা গান্ধী। দেশের একটা বড় অংশের মানুষ এখনও তাঁকেই আদর্শ বলে মেনে চলে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে তাঁর হত্যাকারী গডসের স্তুতি করে থাকেন অনেকেই। গতকালই এই ইস্যুতে গর্জে উঠেছেন সদ্য কংগ্রেসের যোগ দেওয়া কানহাইয়া কুমার। কানহাইয়া বলেছেন, ‘আমি বিজেপির কাছে টুকরে টুকরেই। কারণ ওদের আমি টুকরো টুকরো করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই বিজেপি নাথুরাম গডসেকে জাতির জনক মনে করে, গান্ধীকে নয়। ওরা একমাত্র জো বাইডেনের সামনে গান্ধীর প্রশংসা করে।’ গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরামকে একাধিক দক্ষিণপন্থী দল তাদের ‘আইডল’ হিসেবে দেখে, এমন প্রাক্তন সিপিআই নেতা। এও বললেন, বিজেপির মতাদর্শ তো খোলাখুলি গান্ধীজির বিপক্ষে।
বস্তুত উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের সাংসদ আসলে গান্ধী পরিবারেরই সদস্য। সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে মতাদর্শগত পার্থক্যের জন্য বরুণের মা মানেকা যোগ দেন বিজেপিতে। একই পথ ধরে বিজেপিতে নাম লেখান বরুণও। এখন মা এবং ছেলে দুজনই বিজেপির টিকিটে সাংসদ। বিরোধীরা বলছেন, মোটের দীর্ঘদিন বিজেপি করার পরও বরুণ গান্ধীর মধ্যে যে গান্ধীবাদী মতাদর্শ শেষ হয়ে যায়নি, সেটাই গান্ধীজির মহানতা।
Be the first to comment