মমতার জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন দেবাংশু। বর্তমানে প্রতিপক্ষদের অনেকটাই পিছনে ফেলে জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অবস্থায় উচ্ছ্বাস তৃণমূল শিবিরে। আনন্দে গান গেয়ে উঠলেন মদন। দেবাংশুর দাবি, ‘খেল খতম!’
দশম রাউন্ড শেষে ভবানীপুরে ৩১ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর জয়ের ইঙ্গিত পেয়েই উচ্ছ্বাসে মেতেছে ঘাসফুল শিবিরের কর্মী সমর্থকরা। কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র গান গেয়ে ওঠেন। তিনি বলেন, ‘দিল্লির পথে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বি ফর বেটিয়া, বি ফর ভবানীপুর। আভি তো ট্রেলার চল রাহা হ্যায়, পিকচার আভি বাকি হ্যায়। ও লাভলি!’
এদিকে যুব তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য একটি টুইটে লিখেছেন, ‘খেল খতম…’। অর্থাৎ যে রেকর্ড ভোটে জয়ের দাবি তৃণমূল করছিল, সেই লক্ষ্যে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে যাচ্ছেন তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে অনেকটাই।
উল্লেখ্য, প্রতিপক্ষকে কমপক্ষে ৫০ হাজার ভোটে হারানোর দাবি করেছিল ঘাসফুল শিবির। এরই পালটা দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘ওঁরা এই রকম বড় বড় কথা বলে। রেজাল্ট বার হওয়ার পর বোঝা যাবে কে কোথায় দাঁড়িয়ে।’ কিন্তু, বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই ছবিটা অনেকাংশে স্পষ্ট হয়ে যায়। প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে বহু পিছনে ফেলে এগিয়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় সেলিব্রেট করার জন্য রবিবার বিকেল ৩টে নাগাদ কলেজ স্কোয়ারে উপস্থিত থাকবেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি একটি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘কতজন আসবে বুঝতে পারছি না। তাই নন্দনের মতো জায়গা বা গণনা চলা ভবানীপুরে রিস্ক নিচ্ছি না। কলেজ স্ট্রিটের কাছাকাছি যদি জায়গা করি আসতে পারবেন?’
এরপরেই তিনি স্পষ্ট করে দেন, অন্য কোনও স্থান নয় কলেজ স্কোয়ারেই জয় সেলিব্রেট করবেন তিনি। প্রসঙ্গত, ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য গান বেঁধেছিলেন মদন মিত্র। তাঁর গাওয়া গান ‘ইন্ডিয়া ওয়ানা হ্যাভ আ বিটিয়া’ গানটি বিপুল জনপ্রিয় হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ভোটের দিন সরব হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। তিনি বলেন, ‘ভোট করতে দিচ্ছেন না মদন।’ যদিও সেই দাবি উড়িয়ে মদন জানান, তিনি সেই সময় বাড়িতে বসে বই পড়ছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পরাজিত হওয়ার পর আগামী দশ বছর প্রিয়াঙ্কার কোনও ভোটে লড়াই করা উচিত নয়, বলেছিলেন মদন।
Be the first to comment