ভবানীপুরে জয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে হেরে দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় বসে বিপুল ব্যবধানে বিধানসভায় ঢোকার টিকিট নিশ্চিত করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫৮৩৮৯ ভোটে জয়ী হন তৃণমূল নেত্রী। এই জয়ের ফলে আরও সাড়ে চার বছর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থাকতে তাঁর সামনে আর কোনও সাংবিধানিক জটিলতা রইল না ৷ রবিবার গণনার শুরুতেই খোলা পোস্টাল ব্যালট থেকেই এগিয়ে ছিলেন তিনি। এরপর একটি করে রাউন্ডের পর নিজের ব্যবধান ক্রমশই বাড়াতে থাকেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যত বেলা গড়াতে থাকে, ততই স্পষ্ট হয়ে যায় জয়ের রূপরেখা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নেই ভরসা রাখল ভবানীপুর। দাগ কাটতে পারলেন না বিজেপির প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। কার্যত খুঁজেই পাওয়া গেল না বামপ্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাসকে।
২১ রাউন্ড গণনা শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পান ৮৪৭০৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল পান ২৬৩২০ ভোট। বাম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস পান মাত্র ৪২০১ ভোট। ২০১১ সালের থেকেও এবার বড় ব্যবধানে জিতলেন মমতা।
২০১১ সাল থেকেই ভবানীপুর তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ভোটের ব্যবধানে হেরফের হয়তো হয়েছে, কিন্তু ভবানীপুর থেকে গিয়েছে ঘাসফুলের দখলে ৷ এবারও তাই হল ৷ আর এই জয় প্রত্যাশিতই ছিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা ৷ কিন্তু ফল প্রকাশের পর দেখা গেল ২০১১ সালের উপ-নির্বাচনের রেকর্ডও ভেঙে দিলেন মমতা ৷ সেবার থেকে অনেক বেশি ব্যবধানে জিতলেন তিনি ৷ স্বাভাবিকভাবেই তাই এই নিয়ে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা ৷ চারিদিকে শুরু হয়েছে সবুজ আবির নিয়ে বিজয়োৎসব পালন ৷
সকাল থেকে ফলাফলের ট্রেন্ড দেখেই কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায় শুরু হয় উচ্ছ্বাস। সবুজ আবীর উড়িয়ে উল্লাসে মাতেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। জয় স্পষ্ট বোঝার পরই কালীঘাটের বাড়িতে মমতাকে অভিনন্দন জানাতে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিদির সঙ্গে দেখা করতে আসেন একে একে তাঁর ভাইয়েরা। কার্তিক ও স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যায় সবুজ আবীর মেখে কর্মীদের সঙ্গে উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা হতে।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনী রাজনীতিতে এটা মমতার দশম জয় ৷ আর ভবানীপুর থেকে এই নিয়ে তিনবার জিতলেন মমতা ৷
Be the first to comment