মমতার জয় নিশ্চিত হতেই উল্লাসে মাতলো নন্দীগ্রাম, অকাল-হোলি রাজ্যে জুড়ে

Spread the love

গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে পরাজিত হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ চার মাসের ব্যবধানেই ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হতেই উল্লাসে মেতে উঠেছে ভবানীপুরের পাশাপাশি নন্দীগ্রামবাসীও। সবুজ লাড্ডু একে-অপরকে খাইয়ে, সবুজ আবির মেখে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। কেবল নন্দীগ্রাম নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের সম্ভাবনায় উল্লাসে মেতে উঠেছে একেবারে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ। রবিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে ভবানীপুর ও সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুরে ভোট গণনা কেন্দ্রের উত্তাপও বাড়তে থাকে। যদিও ঘড়ির কাঁটা যত এগোয়, ততই বিজেপি সহ সমস্ত বিরোধী প্রার্থীদের পিছনে ফেলে এগিয়ে যান তৃণমূল প্রার্থীরা।

হাইভোল্টেজ কেন্দ্র ভবানীপুরে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত ভোট সবচেয়ে নজরকাড়া। গণনার প্রথম রাউন্ড থেকেই বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে অনেকটা পিছনে ফেলে এগিয়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর সপ্তম, অষ্টম রাউন্ড গণনার শেষেই একেবারে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে চলে যান তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিশ্চিত বুঝতে পেরেই উল্লাসে মেতে ওঠে ভবানীপুর, কালীঘাট থেকে শিলিগুড়ি, বাঁকুড়া, বীরভূম, মেচেদা নন্দীগ্রামের মানুষ।

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ে রাজ্যের অন্যান্য জেলার মানুষদের উচ্ছ্বাস স্বাভাবিক হলেও নন্দীগ্রামের মানুষের উচ্ছ্বাস অকল্পনীয় বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। চার মাস আগেই নন্দীগ্রামেই একসময়ের অনুগামী, বর্তমান বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ১,৯৫৬ ভোটে পরাজিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও প্রথমে ১২০০ ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেছেন বলে খবর হয়। পরে নির্বাচন কমিশন শুভেন্দু অধিকারীকেই জয়ী ঘোষণা করে। যা নিয়ে বিজেপি ও কমিশনের বিরুদ্ধে আঁতাত ও গণনায় কারচুপিরও অভিযোগও আনে তৃণমূল। মামলা গড়ায় আদালতে। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ধরে রাখতে ভবানীপুরে উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হন মমতা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*