কোভিড পরিস্থিতিতে কীভাবে হবে রাজ্যের দুর্গাপুজো। মঙ্গলবার তা নিয়ে ১১ দফা নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন। জানিয়ে দিল, এবারও হবে না সরকারি কার্নিভাল। নিষেধাজ্ঞা জারি রইল মণ্ডপ চত্বরের সাংস্কৃতির অনুষ্ঠানের উপরও। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ভিড় এড়াতে খোলামেলা রাখতে হবে পুজো মণ্ডপ।
করোনা পরিস্থিতিতে ২০২০ সালে নমো-নমো করে মিটেছিল দুর্গাপুজো। মণ্ডপে ঢুকে প্রতিমা দর্শনের অনুমতি ছিল না। এবার করোনার প্রকোপ অনেকটা কম। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে কীভাবে পালিত হবে দুর্গাৎসব, তা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন।
নির্দেশিকায় কি কি বলা হয়েছে? দেখে নিন এক নজরে!
- মণ্ডপ হবে চারিদিক খোলা।
- প্রবেশ এবং বেরনোর পথ হবে আলাদা।
- শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য মণ্ডপে যথেষ্ট জায়গা রাখতে হবে।
- মণ্ডপে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্কের ব্যবস্থা রাখা বাধ্যতামূলক।
- যত বেশি সম্ভব স্বেচ্ছাসেবককে মণ্ডপে রাখতে হবে। মাস্কে মুখ ঢাকতে হবে তাঁদেরও। দর্শনার্থীদের পাশাপাশি তাঁদেরও মানতে হবে শারীরিক দূরত্ব।
- পুজোর সময় অঞ্জলি, সিঁদুরখেলা বা দেবীবরণের মতো রীতিনীতিকে এবার ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে ছোট-ছোট গ্রুপে মেটাতে হবে এই রীতি।
- মন্ত্রচ্চারণের সময় পুরোহিতদের মাইক্রোফোন ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাতে দূর থেকে সেই মন্ত্র শুনতে পান পুণ্যার্থীরা।
- অঞ্জলির ফুল বাড়ি থেকে আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
- পুজো মণ্ডপে কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে করা চলবে না।
- পুরষ্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে বিচারকরা ভিড় করে মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না। সর্বোচ্চ দু’টি গাড়ি নিয়ে মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন তাঁরা। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩ পর্যন্ত মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন বিচারকরা।
- ভিড় কমাতে পুজো কমিটিগুলিকে বৈদ্যুতিন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার প্রচারের পরামর্শ দিয়েছে রাজ্য।
- পুজো উদ্বোধন কিংবা বিসর্জনে বেশি জাঁকজমক চলবে না। সম্ভব হলে ভারচুয়ালি সারতে হবে পুজো উদ্বোধন।
- নদী বা পুকুরে বিসর্জনের ক্ষেত্রে সময় বেঁধে দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট টাইম স্লট মেনেই প্রতিমা নিরঞ্জন করতে হবে। মণ্ডপ থেকে প্রতিমা সরাসরি ঘাটেই আনতে হবে। মাঝে অন্য কোথাও দাঁড়ানো চলবে না।
- প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে হবে অনলাইনে।
- এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের তরফে কার্নিভালের আয়োজন করা হচ্ছে না।
- রাজ্যের তরফে পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।
Be the first to comment