বেশ কয়েকদিন ধরেই রটে গিয়েছিল তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক আশিস দাস। সেই মতো কলকাতাও আসতে পারেন তিনি। তবে, মঙ্গলবার ঘটল এক অদ্ভুদ ঘটনা। শহরে পা রেখেই কালীঘাটে পৌঁছলেন আশিস দাস। কালীঘাট মন্দিরে মস্তক মুণ্ডন করে আদিগঙ্গায় স্নান করে প্রায়শ্চিত্ত করলেন বিজেপি বিধায়ক। জানালেন, বিজেপিতে তাঁর মোহভঙ্গ হয়েছে। অপরাধবোধ থেকেই মাথা মুড়িয়েছেন। কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে, বুধ অথবা বৃহস্পতিবারই ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নিতে পারেন আশিস দাস।
চলতি মাসের প্রথমেই কলকাতা ঘুরে গিয়েছিলেন আশিস দাস। সেই থেকেই তাঁর তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা শুরু হয়েছিল। এই যোগদান বিপ্লব দেব সরকার তথা ত্রিপুরার বিজেপি শিবিরে বড়সড় ধাক্কা হবে তা বলাই বাহুল্য। আরএসএস ঘনিষ্ঠ ত্রিপুরার এই বিধায়কের আচমকাই এহেন ‘তৃণমূল প্রীতি’ বিজেপি নেতৃত্বের কপালে চওড়া ভাঁজ ফেলেছে। মঙ্গলবার কলকাতায় এসে আশিস দাস বলেন, ‘এতদিন ধরে বিজেপি করার প্রায়শ্চিত্ত করব বলেই মনস্থির করেছিলাম।’ ফলে একেবারে গঙ্গার ঘাটে গিয়ে মন্ত্র পড়ে, যজ্ঞ করে এই কাজ করেছেন তিনি। যা থেকে স্পষ্ট, দলের প্রতি তিনি বীতশ্রদ্ধ।
আশিস দাস বিজেপির অপর বিক্ষুব্ধ বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের ঘনিষ্ঠ বলে খবর। এই অবস্থায় তাঁর তৃণমূলে যোগদান নিঃসন্দেহে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সব ঠিক থাকলে বুধবার, মহালয়ার দিনই তাঁর জীবনের নতুন কেরিয়ার শুরু করতে চলেছেন আশিস দাস। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই দলে যোগ দিতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
এই মুহূর্তে তৃণমূলের লক্ষ্য ত্রিপুরা দখল। ২০২৩ সালে সেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসা এখন পাখির চোখ তৃণমূলের। এখন থেকেই ত্রিপুরায় দলের সংগঠন শক্তিশালী করার কাজ শুরু করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। সেই জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুস্মিতা দেবকে। কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে আসা শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেবকে রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে তৃণমূল। ত্রিপুরায় তাদের স্লোগান হচ্ছে ‘ ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল’।
Be the first to comment