একুশের নির্বাচনের সময় শিশির অধিকারীকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায় দেখা গিয়েছিল। বলেছিলেন, সাংসদ পদ ছাড়ব না। যে যা খুশি করতে পারে। আর দিব্যেন্দু অধিকারী নিজের স্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর সভায় পাঠিয়ে ছিলেন। দলবিরোধী কথা বলেছিলেন। কিন্তু দল ছাড়েননি। আর শুভেন্দু অধিকারী ও সৌমেন্দু অধিকারী তো বিজেপিতে সরাসরি যোগই দিয়েছিলেন। এবার দেখা গেল, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হিসেবেই শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে জায়গা পেলেন। সংসদের একাধিক স্থায়ী কমিটির পুনর্গঠন হয়েছে। শিশির জায়গা পেয়েছেন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক ও দিব্যেন্দু রসায়ন–সার মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে। তৃণমূল কংগ্রেসের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় খাদ্য, গণবণ্টন মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান পদে থাকছেন।
এই প্রক্রিয়া লোকসভার স্পিকার ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের আলোচনার মাধ্যমে স্থায়ী কমিটির পুনর্গঠন হয়েছে। বিজেপি সাংসদরা তথ্য–প্রযুক্তি মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে শশী থারুরকে সরানোর দাবি তুললেও তাঁকে ওই পদে রেখে দেওয়া হয়েছে। ওই কমিটিতে এসেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন রাজ্যসভা সাংসদ জহর সরকার। তৃণমূল কংগ্রেসের আর এক নতুন সাংসদ সুস্মিতা দেব শিক্ষা, নারী, শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটিতে গিয়েছেন। ডেরেক পরিবহণমন্ত্রক থেকে চলে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটিতে।
মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়া রবিশঙ্কর প্রসাদ, প্রকাশ জাভড়েকরদের স্থায়ী কমিটিতে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে অর্থ মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটিতে রাখা হয়েছে। কিন্তু এতকিছুর পরও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে শিশির–দিব্যেন্দু। তাহলে কী আবার প্রত্যাবর্তন? নাকি শুভেন্দু অধিকারীকে খোঁচা দিতেই এই কমিটিতে নিয়ে আসা? এই প্রশ্নের উত্তর দলের তরফ থেকে সেভাবে দেওয়া হয়নি।
এই বিষয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথমসারির নেতা বলেন, ‘আমরা আর একটা সুযোগ দিলাম। যেহেতু তাঁরা দল ছাড়েননি। ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই সুযোগ থাকবে। তারপর তাঁদের কাজকর্ম অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে। আমরা ধরে রাখিনি। সম্মান দিয়েছি। এবার নিজেদের সম্মান তাঁরা রাখবেন, নাকি ধুলোয় মেশাবেন সেটা তাঁদেরই ঠিক করতে হবে।’
Be the first to comment