প্রত্যাশা মাফিকই একুশের বিধানসভা উপনির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দা আসনে জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায় ৷ নিকটতম প্রতদ্বন্দ্বী বিজেপির জয় সাহাকে ৯৩ হাজার ৮৩২ টি (পোস্টাল ব্যালট-সহ) পরাজিত করেন তিনি ৷ তাঁর এই জয় খড়দাবাসীকেই উৎসর্গ করেছেন শোভনদেব ৷
বিধায়কের মতে, তাঁর নামের পাশে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক ছিল ৷ জয়লাভের জন্য সেটুকুই ছিল যথেষ্ট কারণ, মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে রয়েছে ৷ উপনির্বাচনের ফলাফলই এর প্রমাণ বলে দাবি শোভনদেবের ৷ একইসঙ্গে, এই কেন্দ্রের প্রয়াত বিধায়ক কাজল সিনহার কথা উল্লেখ করতে ভোলেননি তাঁর উত্তরসূরি ৷ শোভনদেব মনে করেন, কাজল সিনহা শুধুমাত্র এলাকার বিধায়ক ছিলেন না ৷ তাঁর সঙ্গে এলাকাবাসীর আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল ৷ উপনির্বাচনে সেই ভাবাবেগও যে ফ্যাক্টর হয়েছে, তা মানছেন শোভনদেব ৷
অন্যদিকে, বিজেপির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শোভনদেব বলেন, ‘‘যেভাবে দেশজুড়ে মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা লাগাম ছাড়িয়ে যাচ্ছে, তাতে মানুষ বীতশ্রদ্ধ ৷ বিজেপির উপর ক্ষোভ বাড়ছে ৷ আর সেই কারণেই বিজেপিকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন খড়দহের ভোটাররা ৷’’ শোভনদেবের দাবি, বিজেপি যে ক্রমশ তার প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে, সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷
উল্লেখ্য়, এদিন ভোটগণনা শুরু হতেই একটি বিশেষ ট্রেন্ড সকলের নজর কাড়ে ৷ দেখা যায়, প্রাথমিকভাবে খড়দার বিজেপি প্রার্থী জয় সাহা সিপিএম প্রার্থী দেবজ্যোতি দাসের থেকে পিছিয়ে পড়েন ৷ যা ইদানীংকালে কোনও চমকের থেকে কম নয় ৷ পরে অবশ্য জয় সাহা দু’নম্বরে উঠে আসেন।
উপনির্বাচনের সময় খড়দার বিজেপি প্রার্থী অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদের কর্মী ও এজেন্টরা আক্রান্ত হয়েছেন ৷ যা একেবারেই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে দাবি শোভনদেবের ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি নির্বাচনী পথসভাতেই বলেছিলাম, কোথাও কোনও দলের কর্মী বা এজেন্ট আক্রান্ত হলে সরাসরি আমাকে জানান ৷ আমি নিজে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব ৷ কিন্তু, কেউ আজ পর্যন্ত এই বিষয়ে আমাকে একটা ফোন পর্যন্ত করেননি ৷’’
প্রসঙ্গত, শোভনদেব যে খড়দায় জিতছেন, এটা গণনার প্রথম কয়েক ধাপের পরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল ৷ ফলে ঘোষণার অনেক আগে থেকেই রাস্তায় নেমে পড়েন তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকরা ৷ পরস্পরকে সবুজ আবির মাখিয়ে শুরু হয় অকাল দোলযাত্রা ৷
Be the first to comment