উৎসবের মরশুমে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস। তবে দীপাবলিতে দেশবাসীর জন্য সুখবর জানাল ভোজ্য তেল প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। এই সংক্রান্ত ঘোষণা করেছে তেল সংস্থার সংগঠন সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টর অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠন জানিয়েছে প্রতি কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা কমানো হবে ভোজ্য তেলের দাম।
এর আগে ভোজ্য তেলের দাম কমাতে পদক্ষেপ নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। গত ৩১ অক্টোবর পাম তেলের কেজি প্রতি মূল্য ১৬৯.৬ টাকা থেকে কমিয়ে ১৩২.৯৮ টাকা করা হয়। সোয়া তেলেরও দাম কমানো হয়েছিল। তবে সরষের তেল, বাদাম তেল ও সূর্যমূখী তেলের দাম অপরিবর্তিত ছিল। তবে উত্সবের মরশুমে সেই তেলগুলির দাম কমানোর ঘোষণা করল সংস্থাগুলি।
এর আগে অক্টোবরে আমদানি শুল্ক ও কৃষি কর কমানোর ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। ভোজ্য তেলের দাম যাতে কম হয়, তা নিশ্চিত করার উপায় নিয়ে আলোচনা করার জন্য গতমাসের শেষের দিকে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে একটি বৈঠক হয়। রাজ্যগুলিকে ভোজ্য তেল এবং তৈলবীজ গুদামজাত করার ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিতে বলে ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে কেন্দ্র। সরকারের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বাড়াতেই ভারতের বাজারেও তার প্রভাব পড়ছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার চেষ্টা করছে, যাতে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
এদিকে কেন্দ্রের নির্দেশ মতো উত্তরপ্রদেশ ভোজ্য তেল এবং তৈলবীজ গুদামজাত করার ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে। গুজরাত, রাজস্থান ও হরিয়ানাও এই পথে হাঁটতে চলেছে। তাছাড়া আরও নয়টি রাজ্য এই পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
Be the first to comment