ভারতের তৈরি করোনা টিকা কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বুধবার ভারত বায়োটেকের তৈরি এই টিকাটি অবশেষে WHO-এর ছাড়পত্র পেল। কিছুদিন আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে মার্গারেট হ্যারিস ইঙ্গিত দিয়েছিলেন খুব শীঘ্রই এই টিকাটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। এই টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য ভারত বায়োটেকের থেকে কিছু নথিও চেয়ে পাঠিয়েছিল WHO।
এরপর টিকা ব্যবহারের পর ঝুঁকি, টিকার প্রয়োগ, উপকারিতা বিভিন্ন বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেন বিশেষজ্ঞরা। এরপরেই ছাড়পত্র দেওয়া হয় টিকাটিকে। কোভ্যাক্সিনকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র দেওয়া ভারতীয় বিজ্ঞানীদের কাছে বড় জয় বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল কোভ্যাক্সিনসম্পর্কিত কিছু প্রশ্নের উত্তর তাঁরা এখনও পাননি। আগে সেগুলি হাতে পেয়ে তারপরেই কোনও সিদ্ধান্তে তাঁরা উপনীত হবেন। WHO-এর তরফে জানানো হয়েছিল, ‘ অনেকেই এমার্জেন্সি ব্য়বহারের ক্ষেত্রে কোভ্যাক্সিন কবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পায় সেই জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে। কিন্তু, কোনও টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়ার আগে তাঁর সুরক্ষার দিকগুলি খতিয়ে দেখতে হব। যখন এই টিকা নিয়ে ওঠা যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে, তখন ছাড়পত্র দেওয়া হবে এই টিকাকে।’ কিছুদিন আগেই WHO জানিয়েছিল, ভারতের আবিষ্কারের উপর তাদের ভরসা রয়েছে।
এদিকে, WHO-র ছাত্রপত্র পাওয়ার পর কোভ্যাক্সিন বিশ্বে মান্যতা পেল এবং এই টিকার দুটি ডোজ নেওয়া ব্যক্তি অন্য কোনও দেশে গেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকার প্রয়োজন নেই। ফলে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা যাঁরা এই টিকা নিয়েছেন তাঁদের বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হবে না। কোভ্যাক্সিন নিয়ে বিদেশ সফরে গেলে কোনও সমস্যায় পড়তে হবে না সাধারণ মানুষকে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ভারতের তৈরি এই টিকাকে স্বীকৃতি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। একটি বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়ার তরফে জানানো হয়, এই টিকার নিলে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করা যাবে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, গত শনিবার জি-২০ বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, ২০২২ সালে৫০০ কোটি টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে চাইছে। গোটা বিশ্বে কোভিড প্রতিরোধের বিষয়টি মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া। আর সেই জন্য ভারতীয় টিকার ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন প্রয়োজন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। শেষমেশ কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দেওয়ায় স্বস্তিতে ভারত।
Be the first to comment